সংক্ষিপ্ত
আগামী তিন বছরে ১০০টি কার্গো টার্মিনাল তৈরি করা হবে বলেও জানিয়েছেন নির্মলা। এই টার্মিনালগুলি চালু হয়ে গেলে দেশে গণপরিবহণের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে বলেও দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছেন। এদিকে এবারের বাজেটে দেশের রেল ব্যবস্থার উন্নতি করতে একাধিক নতুন ঘোষণা করেছেন রেলমন্ত্রী। এমনকী দেশের প্রতিটা প্রান্তে উচ্চ গতির ট্রেন পরিষেবা পৌঁছে দিতেও একাধিক নয়া ঘোষমা করেছেন তিনি। পিএম গতিশক্তি মাস্টার প্ল্যান’ (PM Gati Shakti)-এর অধীনে দেশে আগামী তিন বছরে ১০০টি কার্গো টার্মিনাল (100 cargo terminals ) তৈরি করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই টার্মিনালগুলি চালু হয়ে গেলে দেশে গণপরিবহণের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে বলেও দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Union Finance Minister Nirmala Sitharaman)। একইসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেছেন যে আগামী তিন বছরে ৪০০টি নতুন বন্দে ভারত ট্রেন চালানো হবে।
একই সঙ্গে রেল ক্ষুদ্র কৃষক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের জন্য নতুন পণ্য এবং দক্ষ লজিস্টিক পরিষেবা তৈরি করবে বলেও জানানো হয়েছে এবারের বাজেটে। একইসঙ্গে পণ্যের সরবরাহ শৃঙ্খলতা আনার জন্য 'একটি স্টেশন, একটি পণ্য' সিস্টেমও চালু হবে বলে খবর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত বছরের অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই গতিশক্তি প্রকল্পের সূচনা করেন। যার জন্য ১৬টি কেন্দ্রীয় মন্ত্রককে একযোগে কাজ করার কথা বলা হয়েছিল আগেই। এই ১৬টি মন্ত্রককে যৌথ ভাবে একটি সুসংহত পরিবহণ প্রকল্প গড়ে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে। এর মধ্যে সড়ক এবং রেল পরিবহণের প্রধান ভূমিকা রয়েছে। আর সেকারণেই নতুন উদ্যোমে রেলকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
আরও পড়ুন- ভোট বৈতরণী পার করতেই কী ৬০ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি, সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিরোধীরা
আরও পড়ুন- মধ্যবিত্তের জন্য কিছুই দেয়নি সরকার, বাজেট নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ মমতা-ইয়েচুরির
অন্যদিকে ১০০টি কার্গো টার্মিনাল সম্পর্কে প্রাক্তন রেলওয়ে বোর্ডের সদস্য সুবোধ জৈন জানান রেল বাজেটের বিষয়ে যে দুটি বড় ঘোষণা করা হয়েছে তা খুবই ইতিবাচক এবং উদ্ভাবনী। এর দ্বারা দেশী শিল্পগুলি ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। কারণ এটি সমস্ত দেশীয় সংস্থার লজিস্টিক খরচ অনেক কমিয়ে দেবে। একইসঙ্গে তাঁর আরও যুক্তি, এই টার্মিনালগুলি নির্মাণের জন্য সরকারের দৃঢ় ইচ্ছাশক্তির প্রয়োজন ছিল। যা করে দেখানো হয়েছে। কারণ সাধারণত দেখা যায় একাধিক রেলওয়ের প্রকল্প ঘোষণা করা হলেও প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণে রেলের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প শুধু জমি অধিগ্রহণের কারণে বিলম্বিত হচ্ছে। তবে এই ক্ষেত্রে তা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- মোদী জমানায় কতটা এগিয়েছে ভারত, একনজরে মোদী সরকারের শেষ ৯ বাজেট