সংক্ষিপ্ত
মঙ্গলবার ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বাজেটে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ বাড়িয়েছে কেন্দ্র। বাজেট ঘোষণায় শহরের ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর জন্য বরাদ্দ বেড়েছে প্রায় ২০০ কোটি। গত বছর বরাদ্দ ছিল ৯০০ কোটি টাকা। এবার এই মেট্রো প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে ১১০০ কোটি টাকা।
নিজের কার্যকালের মেয়াদের চতুর্থতম বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। এবারের বাজেটে বাংলার জন্য একাধিক বরাদ্দ করা হয়েছে। সবথেকে বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর ক্ষেত্রে। এবার আরও দ্রুত গতিতে চলবে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর (East West Metro) কাজ। কারণ মঙ্গলবার ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বাজেটে (Union Budget 2022) ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ বাড়িয়েছে কেন্দ্র (Central Government)। বাজেট ঘোষণায় শহরের ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর জন্য বরাদ্দ বেড়েছে প্রায় ২০০ কোটি। গত বছর বরাদ্দ ছিল ৯০০ কোটি টাকা। এবার এই মেট্রো প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে ১১০০ কোটি টাকা।
আসলে কলকাতার (Kolkata) অনেকটাই নির্ভর করে মেট্রো পরিষেবার উপর। তার সেই কারণেই কলকাতা ও তার শহরতলি গুলির মধ্যে যোগাযোগ আরও নিবিড় করতে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্প একটি অন্যতম বড় প্রকল্প। গোটা কলকাতা সহ মফস্বলের লোকেরা এই মেট্রো প্রকল্পের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। এবার সেই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ১১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন।
এছাড়া বাংলার ভাগ্যে আর কী কী জুটল?
চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটের জন্য গত বছর বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছিল ১৫ কোটি টাকা। আর এবার তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৫.৫০ কোটি টাকা। এশিয়াটিক সোসাইটির জন্য গত বছর বরাদ্দ ছিল ৫০ লক্ষ টাকা। আর এবছর তা বাড়িয়ে ২ কোটি টাকা করা হয়েছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হোমিওপ্যাথি জন্য গত বছর বরাদ্দ ছিল ৮২.১৭ টাকা। কিন্তু, এবছর সেই খাতে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে অনেকটাই। এবার ২১.৯৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইন্সটিটিউটের জন্য গতবছর বরাদ্দ ছিল ৩৭.৯৬ কোটি। আর এবার ৪৮.২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউটের জন্য গত বছর বরাদ্দ ছিল ২২.৪৫ কোটি টাকা। আর এবার তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩২.১৭ কোটি টাকা। ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্সের জন্য গত বছর কোনও বরাদ্দ ছিল না। আর এবার ১৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পোর্টের জন্য গতবার বরাদ্দ ছিল ২১৭.৫৭ কোটি আর এবার তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৩৮.৪১ কোটি টাকা। বেথওয়েট বার্ন জেশপের জন্য বরাদ্দ গতবারেও ছিল ১ কোটি এবারও তা একই আছে। ফুলপুর-হলদিয়া গ্যাস পাইপলাইনের জন্য ৪৯৯.৭১ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। কিন্তু, এবার এই খাতে কোনও টাকা বরাদ্দ করা হয়নি। ফারাক্কা ব্যারেজের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল গতবছর ৫৬ কোটি আর এবার তা বেড়েছে অনেকটাই। বাড়িয়ে তা করা হয়েছে ১১০.৯৮ কোটি টাকা।
গতবছর বাজেটে যা যা বরাদ্দ ছিল তার কতটা প্রতিশ্রুতি পালন হয়েছে?
গত বাজেটে রাজ্যে সড়ক নির্মাণে ৬৭৫ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল কলকাতা-শিলিগুড়ি সড়কের আধুনিকীকরণও করা হবে। কিন্তু, জমি জটে পুরো কাজই আটকে রয়েছে। এছাড়া পূর্ব পণ্যবাহী করিডরের গোমহ-ডানকুনি অংশের কাজ শুরু হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সেই প্রকল্পের কোনও অগ্রগতি হয়নি। পাশাপাশি দুটি রেল করিডর খড়্গপুর-বিজয়ওয়াড়া ও ইস্ট-ওয়েস্ট করিডর ভুষাবল-খড়্গপুর-ডানকুনির কাজ শুরু করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, এই প্রকল্পও এখনও পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি।
আরও পড়ুন- নির্মলার বাজেটে রেলের প্রাপ্তি, ৪০০ বন্দে ভারত ট্রেন তৈরির প্রস্তাব