সংক্ষিপ্ত
যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে বাণিজ্য ক্ষেত্রে। বেশ খানিকটা দাম বাড়তে পারে বিস্কুটের। যুদ্ধ পরিস্থিতির সঙ্গে পরোক্ষভাবে বিস্কুটের দাম বৃদ্ধির যোগ রয়েছে । গমের দাম বৃদ্ধির ফলেই এবার বিস্কুটের দাম বাড়ার প্রবল সম্ভবনা রয়েছে।
রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান ঘোষণা করার পরই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমশ উর্ধ্বমুখী হতে থাকে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির (Russia-Ukraine War) প্রভাব পড়েছে বাণিজ্য ক্ষেত্রে। একদিকে যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে অপরিশোধিত তেলের দাম তেমন অন্যদিকে হু হু করে বেড়েছে সোনা-রুপোর দামও। সেই সঙ্গে অগ্নিমূল্য হয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামও। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে পারে মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত এমনকী উচ্চবিত্তের সবসময়ের প্রয়োজনীয় জিনিস বিস্কুট (Biscuit)। বেশ খানিকটা দাম বাড়তে পারে বিস্কুটের (Biscuit Price May Hike)। যুদ্ধ পরিস্থিতির সঙ্গে পরোক্ষভাবে বিস্কুটের দাম বৃদ্ধির যোগ রয়েছে ।
প্রসঙ্গত, বিস্কুটের দাম বৃদ্ধির সম্ভবনার নেপথ্যে রয়েছে গমের দাম বৃদ্ধি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে গমের দাম অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে ইতিমধ্যেই আটা-ময়দার দামও অনেক জায়গায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার বিস্কুটের দাম বৃদ্ধির পালা। উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব বিভিন্ন সংস্থা সহ গ্রাহক উভয় পক্ষের ওপরই পড়ছে তা বলাই বাহুল্য। রাশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম গম রফতানিকারক দেশ। অন্যদিকে, ইউক্রেন বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম গম রফতানিকারক দেশ ৷ দুটি দেশের মধ্যে চলতে থাকা যুদ্ধের জেরে অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে গমের সাপ্লাই চেন প্রভাবিত হয়েছে ৷ আর সাপ্লাই চেন প্রভাবিত হওয়ার দরুণ গমের দাম অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে ৷ যার জেরে পরোক্ষভাবে সমস্যায় পড়ছে বাণিজ্যমহল।
উল্লেখ্য, সাধারণত বিস্কুটে ৬০ শতাংশ গম, ২০ শতাংশ ভোজ্য তেল এবং ২০ শতাংশ চিনি থাকে ৷ খরচার হিসেবে গমে খরচ হয় ৩০ শতাংশ, ভোজ্য তেলে ১৫ শতাংশ, চিনিতে ১০ শতাংশ। প্যাকেজিং এবং অন্যান্য জিনিসে খরচ হয় ৩৫ শতাংশ ৷ চলতি বছরে গমের দাম প্রায় ১১১ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছে ৷ গম ছাড়াও পাম তেলের দাম গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে ৷ সাপ্লাই চেনে সমস্যার জেরে চিনির দামও প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে ৷ সেই সঙ্গে প্যাকেজিং ও অন্যান্য চার্জও বেড়ে গিয়েছে ৷ পার্লে ও ব্রিটানিয়ার মতো বিস্কুট সংস্থাগুলি চলতি বছরে ৬-৮ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়িয়েছে। আরও একটা বিষয় জানা দরকার যে, অনেক কোম্পানি বিস্কুটের সাইজ কমিয়ে দাম কম রেখেছে। তবে সেক্ষেত্রেও বিস্কুট কোম্পানিগুলো ক্ষতির মুখে পড়েছে।