সংক্ষিপ্ত
এক হেক্টর জমিতে ড্রাগন ফ্রুট চাষের জন্য খরচ পড়ে মোটামুটি ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। একবার এই খরচের পর প্রতি বছর সেই জমি থেকে মোটামুটি ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা লাভ করা সম্ভব।
অতিমারি করোনা পরিস্থিতিতে অনেক মানুষই নিজের কর্মসংস্থান হারিয়েছে। কোভিড পরিস্থিতেতে ব্যাবসায় মন্দার অজুহাতে প্রতি মাসে বহু কর্মীর মাস মাইনেতে চলেছে কাঁচি। এই রকম কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়তো মানুষ আগে কখনও হয় নি। করোনার দৌলতে মানুষ আজ চাকরির পাশাপাশি নিজের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য ব্যবসাকে সম্বল করতে চান। উল্লেখ্য, ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রের ইউনিয়ন বাজেটেও দেশের কর্মসংস্থানের বিষয়টি নিয়ে অর্থমন্ত্রী কী সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে জনসাধারণ। বর্তমানে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে মানুষের জীবনে। তাই ভবিষ্যতে যাতে ফের সেই রকম কোনো সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে পড়তে হয় না সেই জন্য চাকরির পাশাপাশি একটা স্থায়ী ব্যবসাও (Business Idea) করতে চান। এই রাস্তায় যারা হাঁটতে ইচ্ছেুক তাঁদের জন্য একটা দুর্দান্ত ব্যবসার অফার রয়েছে। আর সেটি হল একটি বিদেশি ফলের ব্যবসা (Dragan Fruit)। বলা বাহুল্য, আজকাল ভারতে কিন্তু বিভিন্ন বিদেশী ফলের চাষ করা হয়ে থাকে। আজ যে বিদেশী ফলের চাষের কথা বলছি সেটি হল ড্রাগন ফ্রুটের ব্যবসা। এই ব্যবসা করে আপনি যথেষ্ঠ লাভবান হতে পারেন।
এই ফলের রঙটাও অত্যন্ত সুন্দর। পুরো গোলাপি রঙের এই ফল বিশেষত থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, ইসরায়েলের মত বিভিন্ন দেশে চাষ করা হয়ে থাকে। পুষ্টিগত মানের জন্যই এই ফলের চাহিদাও ব্যাপক। সেই সঙ্গে বাজারদরও কিন্তু মন্দ নয়। এই ফল যেমন একদিকে ডায়বেটিস এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, তেমনই বাতের ব্যথা এবং হৃদরোগেরও ঝুঁকি কমায়। গুণগত মান, রঙ সবটাই তো জানা হল, এবার জেনে নিন কীভাবে এই ফলের চাষ করে ব্যবসায়িক দিক থেকে লাভবান হবেন। উল্লেখ্য, অত্যন্ত সহজ উপায়ে এই ফলের চাষ করা যায়। বেশি পরিচর্যা বা সারেরও দরকার পড়ে না। মোটামুটি ২০ ডিগ্রি থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ভাল মত বৃদ্ধি পায় এই গাছ। শীতের শেষ থেকে গ্রীষ্মের মধ্যে আদর্শ তাপমাত্রা থাকে এই ফল চাষের জন্য। ড্রাগন ফ্রুট চাষের জন্য দরকার বেলে মাটি। এই গাছের একটি বিশেষ সুবিধা হল অল্প জলেও দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে।
এবার জেনে নেওয়া যাক এই ফল থেকে আপনি ব্যবসায়িক দিক থেকে কতটা লাভবান হবেন। এই ফলের দাম বাজারে প্রতি কেজি প্রায় ২০০-২৫০ টাকা। পরিণত অবস্থায় এক একটি ড্রাগন ফ্রুটের ওজন হয় প্রায় ৪০০ গ্রাম। তাই মাত্র দুটি ফল বিক্রি করেই প্রায় ২০০ টাকার কাছাকাছি আয় করা সম্ভব। এক হেক্টর জমিতে ড্রাগন ফ্রুট চাষের জন্য খরচ পড়ে মোটামুটি ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। একবার এই খরচের পর প্রতি বছর সেই জমি থেকে মোটামুটি ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা লাভ করা সম্ভব।