সংক্ষিপ্ত

নাম না করে আদানি ইস্যুতে অবশেষে বিবৃতি জারি সেবি-র। বলল শেয়ার বাজারে অখণ্ডতা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ।

 

শেয়ার বাজারে অখণ্ডতা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ। শনিবার একটি বিবৃতি জারি করে আদানি গ্রুপের নাম করেই এমন বার্তা দিয়েছে সেবি। একই সঙ্গে জানিয়েছে ব্যক্তিগত শেয়ারে যে কোনও অত্যাধিক অস্থিরতা মোকাবেলায় সমস্ত প্রয়োজনীয় নজরদারীর ব্যবস্থা রয়েছে। পুঁজিবাজার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা বলেছেন, গত সপ্তাহে একটি ব্যবাসয়িক সংগঠনের স্টকগুলিতে অস্বাভাবিক মূল্যের গতিবিধি লক্ষ্য করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেবির এক কর্তা জানিয়েছেন আদানি গোষ্ঠী নিয়েই এই বার্তা দিয়েছে সংস্থা।

অ্যাক্টিভিস্ট শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ গৌতম আদানি-নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীতে জালিয়াতি লেনদেন এবং শেয়ারের দামের হেরফের সহ অভিযোগের লিটানি করার পরে আদানি গ্রুপের স্টকগুলি শেয়ারবাজারে মার খেয়েছে। যদিও আদানি গোষ্ঠী অভিযোগগুলিকে মিথ্যা বলে প্রত্যাখ্যান করেছে, বলেছে যে এটি সমস্ত আইন এবং প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা মেনে চলে।

১০টি তালিকাভুক্ত আদানি গ্রুপ সংস্থাগুলি মাত্র ৬টি ট্রেডিং সেশনে ৮.৫ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় আদানি এন্টারপ্রাইস ২০ হাজার কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি স্থগিত রেখেছে। কিন্তু তারপরেও বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হয়েছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বলেছেন, আদানি গ্রুপের ২০ হাজার কোটি টাকার এফপিও (FPO) প্রত্যাহার করার সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের জন্য ভারতের অর্থনৈতিক চিত্র তেমনভাবে প্রভাবিত হবে না। অর্থমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, গত দুই দিনে বৈদেশিক রিজার্ভে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে।

কিন্তু সেবির এই বিবৃতি জারির পরেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি বসেছেন, সেবির এই বিবৃতি দেখে মনে হচ্ছে গোটা বিষয়টি খুবই হালকে। তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। ২০২১-এর জুন থেকে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাও জানতে চান তিনি। অন্যদিকে শিবসেনা নেত্রী প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী বলেছেন, ভারতে একটি সক্রিয় সেবির প্রয়োজন। প্রতিক্রিয়াশীল নয়, এটি বাজার, বিনিয়োগকারী , ব্যবসায়ী তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলির জন্য ভাল হবে। তিনি আরও বলেছেন সেবি তখনই প্রতিক্রিয়া জানায় যখন তার নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। আর সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয় কোনও ঘটনা নজরে এলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। নেত্রী ঘুরিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এখনও আদানিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

আদানি-ইস্যুকে হাতিয়ার করে বড়় আন্দোলনের পথে যাচ্ছে কংগ্রেস। সঙ্গে রয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। যা এদিন স্পষ্ট হয়েছে। কারণ গৌমত আদানির মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটি বা সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্ববধানে তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।

আরও পড়ুনঃ

Vande Bharat: খাবারে এত তেল কেন? বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রীর ভিডিও ভাইরাল হতেই তৎপর IRCTC

কলেজিয়াম তরজার মধ্যেই পাঁচ বিচারপতি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি কেন্দ্রের, শপথ গ্রহণ সোমবার

আদানি ইস্যুতে মুখ খুললেন নির্মলা সীতারমণ, বললেন - বিশ্বের সামনে ভারতের ইমেজ নষ্ট হবে না