সংক্ষিপ্ত
মার্কিন ব্র্যান্ড কোকাকোলাকে বুড়ো আঙুল দেখাল ইউক্রেন। কোকাকোলা পেপসির মত সফট ড্রিঙ্কসকে বয়কট করল ইউক্রেন। এই মার্কিন সংস্থা রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখার জন্যই এই সফট ড্রিঙ্কসগুলোকে বয়কট করল ইউক্রেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষের জেরে (Russia-Ukraine War) প্রভাব পড়ছে ব্যবসা বাণিজ্যে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট (Russian President) ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) যেদিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের কথা ঘোষণা করেছিলেন সেই দিন থেকেই বাণিজ্যমহলে এর বিশেষ প্রভাব পড়তে দেখা গিয়েছে। এক ধাক্কায় নেমে গিয়েছিল শেয়ার মার্কেটের গ্রাফ। বড়সড় ক্ষতির মুখ দেখেছিল শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগকারীরা। তারপর যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ কানাডার মত দেশগুলো রাশিয়ান ভোদকাকে সম্পূর্ণ বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এবার ইউক্রেন মার্কিন ব্র্যান্ড কোকাকোলাকে বুড়ো আঙুল দেখাল। এখন প্রশ্ন, মার্কিন যুক্তরষ্ট্র যেখানে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়ে রাশিয়ান ভোদকাকে সেই দেশে নিষিদ্ধ করল আমেরিকা (America)তখন ইউক্রেন (Ukraine) হঠাৎ সেই দেশের সঙ্গে সঙ্গে হিংসাত্মক খেলায় কেন মাতল।
প্রসঙ্গত, কোকাকোলা মার্কিন ব্র্যান্ড হলেও, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থতিতে রাশিয়ার সঙ্গে এখনও ব্যবসায়িক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। সেই জন্যই মার্কিন সংস্থা কোকাকোলাকে বয়কটের জাক দিয়েছে ইউক্রেন। এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছে ইফক্রেনের মানুষ। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল সাইট টুইটারে শুরু হয়ে গিয়েছে বয়কট অভিযান। হ্যাশট্যাগ বয়কট কোকাকোলা লিখে পোস্ট করেছেন সেখানের বহু মানুষ। বলা ভাল, সোশ্যাল মিডিয়ায় বয়কটের ট্রেন্ড চলছে। সেই সঙ্গে ইউক্রনবাসীরা আমেরিকান কোম্পানি কোকাকোলা এর পণ্যগুলিকে বয়কট করতে শুরু করেছে। এমনকি খুচরো বিক্রেতাদের দোকান থেকে ইতিমধ্যেই প্রোডাক্টগুলি সরিয়েও ফেলা হয়েছে।
ফলস্বরূপ ইউক্রেনের একাধিক স্টোরে এখন পাওয়া যাচ্ছে না কোকাকোলা, স্প্রাইট ও মিরিন্ডার মত ঠান্ডা পানীয়গুলো। এছাড়াও বয়কট করা হয়েছে বেশ কয়েকটি সফ্ট ড্রিঙ্কসও। সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে দেখা যাচ্ছে, ইউক্রেনের বেশ কিছু মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় কোকাকোলা বয়কটের ট্রেন্ডকে সমর্থন করেছে। শুধু কোকাকোলাই নয়, বয়কটের তালিকায় রয়েছে পেপসি-র মত সফট ড্রিঙ্কসও। এর ফলে ইউক্রেনের মানুষ জনপ্রিয় এই সকল সফট ড্রিঙ্কস থেকে বঞ্চিত হবেন। দুই দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রতিনিয়ত ধাক্কা খাচ্ছে বাণিজ্যমহল।