সংক্ষিপ্ত
প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালু প্রাসাদ যাদবের আমলেই রেলের বাতিল যন্ত্রাংশ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। রেল যাত্রী টিকিটের দাম না বাড়িয়ে অন্য উপায়ে রেল তার আয় বৃদ্ধির চেষ্টা শুরু করে ভারতীয় রেল বোর্ড।
প্রাক্তন রেলমন্ত্রী(railway Minister) লালু প্রাসাদ যাদবের (Lalu Prasad Yadav) আমলেই রেলের বাতিল যন্ত্রাংশ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার কাজ এগোচ্ছে পূর্ব রেল(Eastern Railway)। পূর্ব রেল তার বাতিল হয়ে যাওয়া যন্ত্রাংশ(Old Equipment) টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি শুরু করে। রেলের পুরনো যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ফলে এক ঢিলে মরবে দুই পাখি। অর্থাৎ, একদিকে পুরনো যন্ত্রপাতি বিক্রির ফলে যেমন খালি হবে রেলের জায়গা তেমনই পুরনো যন্ত্রপাতি বিক্রির থেকে রেলের আয়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়(। সম্প্রতি পূর্ব রেলের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়, বিভিন্ন উদ্দেশ্যে রেলের পুরনো যন্ত্রপাতি বিক্রি করা হয়ে থাকে(Sold Out Old Equipments)। একদিকে যেমন আয় বৃদ্ধির সুবিধা রয়েছে তেমনই অন্যদিকে অপ্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রির ফলে কাজের জায়গার পরিধিও অনেকেটা বিস্তৃত হয়। শুধু তাই নয়, রেল ট্রাকের কাছে পড়ে থাকা এই বাতিল যন্ত্রাংশ থেকে দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকিও অনেকটা কমে। পূর্ব রেল সুত্রের খবর, রেল ট্র্যাকের পরিচর্যা করার কাজের সময় এই বাতিল যন্ত্রাংশ থেকে দুর্ঘটনা ঘটার একটা সম্ভাবনা থেকেই যায়।
এবার দেখা যাক রেলের পুরনো যন্ত্রাংশ বিক্রি থেকে কেমন আয় হচ্ছে। উল্লেখ্য, বেশ মোটা অঙ্কের টাকাই লাভ হচ্ছে রেলের এই পুরনো যন্ত্রাংশ বিক্রি করে। রেলের আয়ের পরিমাণ উত্তোরত্বর বৃদ্ধিই পাচ্ছে। সম্প্রতি এই বাতিল যন্ত্রাংশের বিক্রি থেকে একদিনে রেলের আয় হয়েছে প্রায় 8 কোটি টাকা। এটা তো গেল একদিনের আয়। পুরনো যন্ত্রপাতি বিক্রি থেকে এক বছরের আয়ের হিসাব দেখলে তো আপনার চক্ষু চরকগাছ হতে বাধ্য। তাহলে শুনুন, চলতি বছরে রেলের বাতিল যন্ত্রাংশ বিক্রি করে পূর্ব রেলের মোট আয় হয়েছে ২০৩ কোটি টাকার আশেপাশে। পরিসংখ্যানের বিচারে, বাতিল যন্ত্রাংশ বিক্রি করে গত বছরের তুলনায় ৮০ শতাংশ অধিক অর্থলাভ হয়েছে বলেই রেলের তরফে দাবি করা হয়েছে। বিক্রি বৃদ্ধির পরিমাণ দেখে, এই বছর রেল বোর্ড ২৬৫ কোটি টাকার যে লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল, তা সামনের বছর মার্চ মাসের আগেই পূর্ণ হয়ে যাবে বলেই রেলের বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়েছে।
আরও পড়ুন-The Railway Men: এবার ওটিটিতে ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা, তৈরি হচ্ছে দ্যা রেলওয়ে মেন
প্রসঙ্গত, রেল যাত্রী টিকিটের দাম না বাড়িয়ে অন্য উপায়ে রেল তার আয় বৃদ্ধির চেষ্টা শুরু করে ভারতীয় রেল বোর্ড। পাশাপাশি দীর্ঘ কয়েক মাস কোভিডের কারণে লকডাউন থাকায় দূরপাল্লা ও লোকাল ট্রেন পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়েছিল। সেই সময় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল ভারতীয় রেলকে। এই লোকসানের হাত থেকে রেলকে বাঁচাতে ও আয় বৃদ্ধির জন্য পুরনো যন্ত্রপতি বিক্রি অন্যতম উপায় বলে মনে করছে ভারতীয় রেল। উল্লেখ্য, করোনার পরবর্তী পরিস্থিতিতে ধীরে ধীরে ট্র্যাকে ফিরছে ভারতীয় রেল। এছাড়াও প্রাক-করোনাকালীন সময় রেলের পুরনো পরিষেবাগুলি ফিরিয়ে আনার উদ্য়োগ নিচ্ছে ভারতীয় রেল। যেমন দূরপাল্লার ট্রেনগুলিতে ফিরেছে খাবার পরিষেবা,, বেড রোলের মতো পরিষেবা গুলো।