সংক্ষিপ্ত
চলতি সপ্তাহে বুধবারেই নিজের ‘বায়ো’ বদল করে ইলন মাস্ক লেখেন, ‘চিফ টুইট’। আর তার পরেই একের পর এক উচ্চ পদস্থ কর্মীর ওপর নেমে এল দুর্যোগ।
সম্প্রতি টুইটার কেনার চুক্তি সম্পন্ন করেছেন ইলন মাস্ক। সেই চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়ালকে টুইটার থেকে বের করে দিলেন বিশ্বের এই এক নম্বর ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারী।। এমনটাই দাবি করা হয়েছে আমেরিকার সংবাদ মাধ্যমের এক রিপোর্টে। জানা গেছে, শুধুমাত্র সিইও পরাগকেই নয়, টুইটারের চিফ ফাইন্যানশিয়াল অফিসার নেড সেয়গাল, সিএফও এবং আইন বিভাগের প্রধান বিজয়া গাড্ডেকেও চাকরি থেকে বের করে দিয়েছেন ইলন মাস্ক। এর আগে পরাগ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে প্রমাণ নষ্টের অভিযোগ করেছিলেন ইলন মাস্ক।
এর আগে অবশ্য টুইটারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করার প্রচেষ্টা করছিলেন বিশ্বের নম্বর ওয়ান ধনকুবের। সেই বিষয়টি গড়িয়েছিল একেবারে আদালত পর্যন্ত। এরপরই তিনি ঘোষণা করে দেন যে, তাঁর আগের সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে, অর্থাৎ তিনি টুইটার কিনতে ইচ্ছুক। এই আবহে এবার টুইটার কেনার চুক্তি সম্পন্ন করলেন ইলন মাস্ক। ‘আরও অর্থ উপার্জনের জন্য কিনিনি। মানবতার জন্য কিনেছি।’ বৃহস্পতিবার টুইটারের মালিকানা গ্রহণ করে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন মাস্ক। এর আগে তিনি যখন টেসলার সিইও ছিলেন, তখন টুইটারের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। মাস্কের অভিযোগ ছিল, ৪৪ মিলিয়ন ডলারের চুক্তির সময় টুইটারের তরফে তাঁর কাছে সংস্থা সংক্রান্ত যে তথ্যগুলি দেওয়া হয়েছিল, সেগুলি ছিল বিভ্রান্তিকর। সেই আবহে এই চুক্তি বাতিল না করে তা সম্পন্ন করার জন্য টুইটারের তরফে মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
টুইটারে থাকা সমস্ত জাল বা স্প্যাম অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য খোলসা করতে বলেছিলেন ইলন মাস্ক। টুইটার কর্তৃপক্ষ তাঁকে সেই সংক্রান্ত সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হয় বলে অভিযোগ। সেই কারণেই চুক্তি বাতিল করেন বলে দাবি করেন টেসলার কর্ণধার। টুইটারে বট, স্প্যাম অ্যাকাউন্টের নিষ্পত্তি না করলে চুক্তি করবেন না বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। এই বিষয়টি নিয়েই তখন থেকে পরাগ আগরওয়াল এবং মাস্কের মধ্যে তিক্ত সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত সংস্থার মালিক হয়ে যেতেই পরাগকে একেবারে সরাসরি চাকরি থেকে বের করে দিলেন মাস্ক। চাকরি থেকে ছাঁটাই হয়ে যাওয়ার পরেই পরাগ আগরওয়াল সানফ্রান্সিসকোয় টুইটারের সদর দফতর ছেড়ে দিয়েছেন বলে খবর।
পূর্বে একাধিক সংস্থা তাদের রিপোর্টে দাবি করেছিল যে, টুইটারের মালিকানা হাতে পেয়ে গেলেই ইলন মাস্ক এই সংস্থার ৭৫ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাই করে দেবেন। সেসময়ে অবশ্য, সান ফ্রান্সিসকোয় অবস্থিত টুইটারের সদর দফতরে নিজে উপস্থিত হয়ে কর্মীদের চাকির বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছিলেন মাস্ক। তাঁর টুইটার অধিগ্রহণের ফলে ছাঁটাইয়ের কোনও সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। চলতি সপ্তাহে বুধবারেই নিজের ‘বায়ো’ বদল করে ইলন মাস্ক লেখেন, ‘চিফ টুইট’। আর তার পরেই একের পর এক উচ্চ পদস্থ কর্মীর ওপর নেমে এল দুর্যোগ।
আরও পড়ুন-
তান্ত্রিক হতে চেয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে নৃশংস খুন! কলকাতায় পাড়ি দিলেন হরিয়ানার যুবক
কেরলের অর্থমন্ত্রীর ওপর তীব্র ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল, ‘তাঁর ওপর আমার আস্থা সীমাহীন’, পালটা জবাব মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের
অনুব্রত অথবা মানিক নন, একা পার্থকে নিয়েই কেন বিড়ম্বনায় তৃণমূল? দলের সিদ্ধান্ত জানালেন সৌগত রায়