টুইটারের নিয়ন্ত্রণ যে হাতে নেওয়ার জন্য এলন মাস্ক উঠে পড়ে লেগেছেন সে নিয়ে জল্পনা চলছিল। এবার সত্যি সত্যি ফলে গেল। টুইটারের মালিক হতেই এলন মাস্ককে নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।  

৪৪ বিলিয়ন ডলার মূল্য দিয়ে টুইটারের মালিক হলেন এলন মাস্ক। বিশ্বের অন্যতম সেরা উদ্যোগপতি হিসাবে নাম কামানো এলন মাস্কের দেওয়া দরকে তারা যে মান্যতা দিচ্ছেন তা সোমবার মধ্যরাতে ঘোষণা করে টুইটার। জানানো হয় সংস্থার শেয়ার হোল্ডাররা মাস্কের প্রস্তাবে সহমত পোষণ করেছেন। যার ফলে ৪৪ বিলিয়ন ডালর মূল্যে এলন মাস্কের হাতে সংস্থার নিয়ন্ত্রণ তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দেয় টুইটার কর্তৃপক্ষ। সাম্প্রতিক সময়ে এটা শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত থাকা যে কোনও সংস্থার সেরা দর। 

সোমবার শেয়ার হোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠকের পর টুইটার ঘোষণা করে যে তারা শেয়ার প্রতি ৫৪.২০ ডলার করে দেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। আর এরপরই এলন মাস্কের প্রস্তাবে তাদের সম্মতির কথা ঘোষণা করে টুইটার-এর বর্তমান পরিচালকরা। টুইটারকে তিনি যে কিনে নিতে চান তা চারদিন আগেই প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলেন এলন মাস্ক। এর জন্য টুইটার কর্তৃপক্ষের কাছে যে মাস্ক একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। এরপর থেকেই একটা জল্পনা চলছিল। এলন মাস্ক মনে করেন যে টুইটারের মতো প্ল্যাটফর্মের বাক স্বাধীনতা অনেক কম। এখানে আরও বেশি করে ফ্রিডম অব স্পিচ বা বাক স্বাধীনতার অধিকার রক্ষিত হওয়া উচিত। এই একই বিষয়ে অতিতে টুইটারকে তুলোধনা করেছিলেন মাস্ক। এরপর বিভিন্ন স্থানে টুইটারে বাক স্বাধীনতা নিয়েও বিষ্ময় প্রকাশ করেছিলেন তিনি। 

স্পেস-এক্স এবং টেসলার কর্ণধার তথা বিশ্বের অন্যতম সেরা উদ্যোগপতি এলন মাস্ক বরাবরই নিজেকে বাক স্বাধীনতার অন্যতম দাবিদার বলেই সওয়াল করে এসেছেন। প্রকাশ্যেই টুইটারের নীতির সমালোচনা করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। তিনি নিজেও বারবার বলতেন টুইটারের বিস্তারের অনেক জায়গা রয়েছে এবং মুক্ত চিন্তা ও বাক স্বাধীনতার অন্যতম এক সেরা স্থান হয়ে ওঠার মতো রসদ রয়েছে এর। 

এখন পর্যন্ত যে খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে রকেট ডেভলপার তথা স্পেস এক্স-এর কর্ণধার নাকি বলেছেন, তিনি টুইটারে হওয়ার ট্রোলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চান। সেইসঙ্গে টুইটারের প্রিমিয়াম ব্লু ব্যাজ পাওয়া সাবস্ক্রিপশনেও বেশকিছু নতুন সুবিধা যোগ করার পক্ষেও সওয়াল করেছিলেন মাস্ক। এমনকীর এর মাসিক ভাড়া কমানোর সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞাপণ-র না দেখানোর বিষয়েও সহমত রয়েছে মাস্কের। 

এদিকে টুইটার ৪৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যে অধিকাংশ শেয়ার মাস্কের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করতে না করতেই টুইটারে খোদ মাস্ক এক আবেগঘন পোস্ট করেন। তিনি লিখেছেন- ' বাক স্বাধীনতা আসলে একটি গণতন্ত্রের স্তম্ভ।'

Scroll to load tweet…