সংক্ষিপ্ত

মাস্কের মতে টুইটারে কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। টুইটারকে ব্যক্তিগত করতে যে যে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন, তা করবেন তিনি। 

টেসলার সিইও এলন মাস্কের নয়া নজির। এবার গোটা টুইটারকেই কেনার পরিকল্পনা করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার এসইসি-তে দেওয়া একটি আপডেট বলছে টুইটারের ১০০ শতাংশ কেনার জন্য লোভনীয় প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। তিনি নগদে শেয়ার প্রতি ৫৪.২০ ডলার অফার করছেন।

ব্লুমবার্গের মতে মাস্কের সম্পদের পরিমাণ প্রায় $২৬০ বিলিয়ন। টুইটারের বাজার মূল্য প্রায় $৩৭ বিলিয়ন। সিএনবিসি অনুসারে মাস্কের অফারের টুইটারের মূল্য প্রায় $৪৩ বিলিয়ন। সম্প্রতি এলন মাস্ক সংস্থার ৯.২ শতাংশ শেয়ার কিনে নেন। তার জন্য মাস্ককে খরচ করতে হয়েছে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

১৩ই এপ্রিল টুইটারকে লেখা এক চিঠিতে এই ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন শেয়ার প্রতি ৫৪.২০ ডলার অফার করছেন, যদি টুইটার তার প্রস্তাবে রাজি না হয়, তবে নিজের বর্তমান শেয়ার সম্পর্কে তার অবস্থান বদলাতে হয়ত বাধ্য হবেন তিনি। চিঠিতে তিনি লেখেন, সংস্থা হিসেবে টুইটারের ভবিষ্যত উজ্জ্বল। শুধু সেই সম্ভাবনাগুলোকে খুলে দিয়ে রাস্তা তৈরি করতে হবে। 

মাস্কের মতে টুইটারে কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। টুইটারকে ব্যক্তিগত করতে যে যে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন, তা করবেন তিনি। 

টুইটার অফারের বিষয়টি নিশ্চিত করে একটি প্রেস রিলিজ জারি করে বলেছে, "টুইটার বোর্ড অফ ডিরেক্টরস কোম্পানি এবং সমস্ত টুইটারের স্টকহোল্ডারদের স্বার্থে ইলন মাস্কের প্রস্তাবটি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা ও পর্যালোচনা করবে।"

এদিকে, টুইটার শেয়ার মাস্কের হস্তক্ষেপের খবরে ১৩ শতাংশের বেশি বেড়েছে। টেসলার শেয়ার ১.৫ শতাংশ কমে গেছে এই আশঙ্কায় যে টুইটারের অন্যতম শেয়ার হোল্ডার মাস্ক হয়ত এখন টেসলা, স্পেসএক্স, দ্য বোরিং কোম্পানি এবং নিউরালিংকের বিষয়ে ততটা আগের মত গুরুত্ব দেবেন না। উল্লেখ্য, মাস্ক একবার টুইটারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রাক্তন সিইও জ্যাক ডরসিকে বলেছিলেন যে দুটি কোম্পানি একসাথে চালানো একটি খারাপ ধারণা।

ইউএস সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী টুইটারে মাস্কের স্টেক বা শেয়ারকে প্যাসিভ ইনভেস্টমেন্ট হিসেবে ধরা হচ্ছে। এর অর্থ হল ইলন মাস্ক লং টার্ম ইনভেস্টর বা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারী হিসেবে কাজ করতে চাইছেন। 

এর আগে ইলন মাস্ক টুইটারের একাধিক ব্যবহারিক ক্ষেত্র নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল এই সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মের বাকস্বাধীনতা নীতি। মাস্কের দাবি ছিল টুইটারের বিকল্প হিসেবে এমন কোনও প্ল্যাটফর্ম গড়ে উঠুক যেখানে গণতান্ত্রিক ভাবে মতামত প্রকাশ করা যাবে। 

মাস্ক টুইটারে একটা পোল পোস্ট করেন। সেখান থেকে তিনি জানতে চান টুইটারে কোনও এডিট অপশন ব্যবহারকারীরা চান কীনা। শেয়ার বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ইলন মাস্ক মোটা পরিমাণ শেয়ার কিনে নিজের স্টেক কেনাবেচার পরিমাণ কমিয়ে আনতে চাইছেন দীর্ঘমেয়াদী সুবিধার জন্য।