সংক্ষিপ্ত
এতদিন পর্যন্ত মাসিক সেলস রিটার্ন ও মাসিক সামারি রিটার্নের মধ্যে কোনও ফারাক থাকলে করদাতাদের শো-কজ নোটিস পাঠানো হত। কিন্তু নতুন বছর থেকে সেই সুযোগ আর পাবেন না করদাতারা।
নতুন বছরে জারি নতুন নিয়ম। ১ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম জারির নির্দেশিকা ইতিমধ্যই এসে গিয়েছে। এবার সেই তালিকার নয়া সংযোজন জিএসটি। ১ জানুয়ারি থেকে জিএসটি-র ক্ষেত্রেও চালু হবে নতুন নিয়ম। উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাজেট পেশ হওয়ার পর সংসদে পাশ হওয়া ফিন্যান্স অ্যাক্ট অনুযায়ী জিএসটি-র একটি নতুন ধারার সংযোজন করা হয়েছিল। গত ২১ ডিসেম্বর দ্য সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডাইরেক্টর ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমসের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানেই বলা হয়েছে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে এই নতুন নিয়ম লাঘু হচ্ছে। আর এই নতুন অনুসারে নতুন বছর থেকে জিএসটি আধিকারিকরা কোনও রকম জবাবদিহির সুযোগ না দিয়েই করদাতাদের বকেয়া কর উদ্ধার করবে। উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত মাসিক সেলস রিটার্ন ও মাসিক সামারি রিটার্নের মধ্যে কোনও ফারাক থাকলে করদাতাদের একটা শো-কজ নোটিস পাঠানো হত। সেই নোটিসের ভিত্তিতে করদাতারা নিজেদের পক্ষে কিছু বলার সুযোগ পেতেন। কিন্তু নতুন বছর থেকে সেই সুযোগ আর পাবেন না করদাতারা।
কর বিশেষজ্ঞদের মতে, জিএসটি আইনের নতুন ধারা অনুযায়ী কর আধিকারিকদের হাতে চলে আসবে একগুচ্ছ ক্ষমতা। এর ফলে ব্যবসায়ীদের কেনাবেচার ভুঁয়ো হিসাব দেখানোর প্রবণতা অনেকটা কমবে। কিন্তু এই ক্ষেত্রেও একটা প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। কর আধিকারিকদের হাতে বিপুল ক্ষমতা চলে এলে তাঁরা যে সেই ক্ষমতার কোনও অপব্যবহার করবে না সেই বিষয়টিও নিয়েও ব্যবসায়ী মহলে দানা বাঁধছে উদ্বেগ। বলা বাহুল্য, সব দিক ঠিক ঠাক থাকলে অর্থাৎ করদাতারা যদি সঠিক সময় সৎ ভাবে কর প্রদান করত তাহলে এত কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনই পড়ত না। উপযুক্ত জিএসটি না দিয়ে, বিভিন্ন নথির আড়ালে কর ফাঁকি দেওয়ার একটা প্রবণতা সামনে এসেছে বহুবার। কর ফাঁকি দেওয়ার মত দুর্নীতি রুখতেই ১ জানুয়ারি থেকে নয়া পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন-OLA And Uber GST-বর্ষবরণের প্রথম দিনেই দামী হচ্ছে ওলা-উবের পরিষেবা,চালু হচ্ছে ৫ শতাংশ GST
জিএসটি আইনে নতুন ধারা অনুযায়ী, কোনও ব্যবসায়ীর মাসিক সেলস রিটার্ন ও মাসিক সামারি রিটার্নের মধ্যে পার্থক্য থাকলে তার স্বপক্ষে কোনও অজুহাত যেমন বরদাস্ত করা হবে না ঠিক তেমনই করের ওপর কোনও ছাড়ের সুযোগও দেওয়া হবে না। বরং কর আধিকারিকরা বকেয়া কর আদায়ের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন। সর্বোপরি, কর আধিকারিকদের স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতি রুখতে এবং করদাতাদের মনে যাতে কোনও রকম দিধা তৈরি না হয় সেই জন্য দেশের বেশিরভাগ আয়কর সংক্রান্ত কাজকর্ম ও ্ভিযোগের নিষ্পত্তি অনলাইনের মাধ্যমেই করা হচ্ছে। কিন্তু নতুন বছরে নতুন নিয়ম চালু হলে জিএসটি আদায়ের ক্ষেত্রে কর আধিকারিকদের ক্ষমতায়নকে আরও কিছুটা বাড়িয়ে আয়কর ব্যবস্থাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে।