সংক্ষিপ্ত

একদিকে রসুন চাষে যেমন কৃষকের আয় হবে তেমনি আপনি ব্যবসায়িক দিক থেকেও হবে লাভবান। রসুন চাষের ব্যাবসা মারফত আপনি ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের সুযোগ পাবেন। রসুন চাষের জন্য ১ হেক্টর জমির জন্য ১ লাখ টাকার রসুন বীজের  প্রয়োজন।
 

অতিমারি করোনা গ্রাস করেছে হাজার হাজার মানুষের রুজি রুটি। চাকরি হারিয়ে অনেকেই ভুগেছেন বেকারত্বের যন্ত্রনায়। তবে কথায় আছে না, সব খারাপের মাঝেও ভাল কিছু হওয়ার একটা সম্ভবনা থাকে। ঠিক সেই রকমই কোভিড পরিস্থিতিতে অনেকেই নিজেদের জমানো পুঁজি দিয়ে স্টার্টআপ ব্যবসা(Startup Business) শুরু করতে উদ্যোগী হয়েছেন। অনকে কিন্তু আবার সফলও হয়েছেন। করোনার অশুভ ছায়া আজও পিছু ছাড়েনি। নতুন আতঙ্কের নাম ওমিক্রন। আগামী দিনে পরিস্থিতি আবার কোন দিকে মোড় নেয়, তা কিন্তু সকলেরই অজানা। তাই চাকরির পাশাপাশি যদি স্টার্টআপ বিজনেস শুরু করতে চান তাহলে আপনার জন্য রয়েছে দুর্দান্ত এক অফার। শুরু করতে পারেন রসুনের চাষের ব্যাবসা(Ginger Firming)। এই ব্যবসা অত্যন্ত লাভজনক বলেই মনে করা হয়। একদিকে কৃষকের চাষে আয় হবে তেমনি আপনি ব্যবসায়িক দিক থেকেও হবে লাভবান। বলা বাহুল্য, রসুন চাষের ব্যবসা করে লাখ টাকা উপার্জনের স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হতে পারেন আপনি। উল্লেখ্য রসুন চাষের ব্যাবসা(Ginger Firming) মারফত আপনি ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের সুযোগ পাবেন। 

রসুন চাষে আহামরি কোনও ব্যাপার নেই ঠিকই, তবে কয়েকটি বিষয়ের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। না হলে কিন্তু এই চাষ করা সম্ভব নয়। প্রসঙ্গত, রসুন চাষের ক্ষেত্রে কৃষি বিশেষজ্ঞের পরামর্শও নেওয়া উচিত। মাটি পরীক্ষা করা বাঞ্ছনীয়। মাটি পরীক্ষা করলে তবেই বোঝা যেতে পারে এই মাটিতে কোন ধরণের রসুন চাষ ভালো হবে। রসুন চাষের ক্ষেত্রে আবহাওয়াও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বর্ষার পরে পরেই রসুন চাষ শুরু করা উচিত। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে রসুন চাষ করা যেতে পারে। রসুন চাষের ক্ষেত্রে আরও একটি বিষয় জেনে রাখা দরকার, রসুনের দানা থেকে রসুনের চাষ করা হয়। ১০ সেন্টিমিটারের ব্যবধানে রসুনের বীজ বপন করতে হয়। যাতে ভালোভাবে বীজটি বৃদ্ধি পেতে পারে। বাঁধ দিয়েও রসুন চাষ করা যেতে পারে। উল্লেখ্য,রসুন যে কোনও ধরণের ক্ষেতেই চাষ করা যেতে পারে, তবে সেই জমিতে যেন কোনওভাবেই জল না জমে 

আরও পড়ুন-Business Idea-নিজের ব্যবসা শুরু করতে চাইছেন, হতে পারেন টিকিট এজেন্ট, যোগাযোগ করুন IRCTC-র সঙ্গে

আরও পড়ুন-Small Business Ideas-চাকরী আর ভালো লাগছে না?ব্যবসা করতে চান?রইল ছোট ব্যবসার বড় টিপস

আরও পড়ুন-Business Idea-কম পুঁজি বিনিয়োগে মোটা আয়ের সুযোগ,শুরু করুন আদা চাষের ব্যবসা, পেয়ে যাবেন ভর্তুকীও

মোটামুটি ভাবে ৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যেই রসুন তৈরি হয়ে যায়। রসুন চাষের জন্য ১ হেক্টর জমিতে ৫ কুইন্টাল বীজ বপন করা যেতে পারে। এই চাষ থেকে ১২০ থেকে ১৫০ কুইন্টাল রসুন পাওয়া যেতে পারে। খুব কম করে ধরলেও ১২৫ কুইন্টাল রসুন তো চাষিরা সহজেই পেয়ে যেতে পারেন। যে কোনও বীজের দোকানেই রসুনের বীজ পাওয়া যায়। এছাড়াও অনলাইনেও এই বীজ কেনার সুযোগ রয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী বীজ সর্বদা দোকান থেকেই কেনা উচিত। রসুন চাষের জন্য ১ হেক্টর জমির জন্য ১ লাখ টাকার রসুন বীজের  প্রয়োজন। ১ হেক্টর জমিতে চাষ করলে কোনও কৃষক মোটামুটি ১৩০  কুইন্টাল রসুন পেতে পারেন।  প্রতি কেজি রসুন বেচে ৩০ টাকা থেকে 40 টাকা পাওয়া যেতে পারে।  সেই হিসাব মত, ১৩০ কুইন্টাল রসুন থেকে ৫ লাখের বেশী আয় হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এই লাভের অঙ্ক থেকে যদি বিনিয়োগের টাকার পরিমান বাদ দেওয়া যায় তাহলে প্রায় ৪ লাখ টাকার কাছাকাছি আয় করার সুযোগ রয়েছে।