সংক্ষিপ্ত

বি টু বি ই-কমার্স সংস্থা ইন্ডিয়া মার্ট একটি বিশেষ সিদ্ধান্ত নিল। এবার থেকে মাস মাইনে নয়, প্রতি সপ্তাহেই কর্মীদের হাতে সাপ্তাহিক বেতনের চেক তুলে দেওয়া হবে। সংস্থায় কর্মরত মানুষদের সুষ্ঠ জীবনযাপননের পথ প্রসস্থ করতেই নয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্ডিয়া মার্ট।

অতিমারি করোনা পরিস্থিতিতে এক সময় যেমন আর্থিক সঙ্কট তৈরি হয়েছিল তেমনই মাস মাইনেতে কাঁচি চলেছিল। বর্তমান পরিস্থিতি ধীরে ধীরে একটু উন্নতির পথে এগোচ্ছে। পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক হচ্ছে তখন একটি নামী বি টু বি ই-কমার্স সংস্থা ইন্ডিয়া মার্ট (Indiamart) একটি বিশেষ সিদ্ধান্ত নিল। এই সংস্থায় কর্মরত মানুষদের সুষ্ঠ জীবন যাপননের পথ প্রসস্থ করতেই নয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্ডিয়া মার্ট। আসুন জেনে নেওয়া যাক কী এই নতুন সিদ্ধান্ত (New Decission)। সংস্থার তরফে ঠিক করা হয়েছে, এবার থেকে মাস মাইনে নয়, প্রতি সপ্তাহেই কর্মীদের হাতে সাপ্তাহিক বেতনের(Weekly Salary) চেক তুলে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, কর্মীদের প্রতি উদার মানসিকতার নিরিখে এই ধরনের অভিনব চিন্তাভাবনার দরুণ দেশের (India) প্রথম সংস্থা হিসাবে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত গ্রহণ ইন্ডিয়ামার্টের (Indiamart)। 

চাকুরিরত অবস্থায়, প্রত্যেক কর্মচারীর (Employee) নানারকম আর্থিক চাপ থেকে থাকে। মাস মাইনে পেয়েই পরিবারের হাতে টাকা তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেরই সীমাবদ্ধতা থাকে। সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনেরও কিছু প্রয়োজনীয়তা থাকে। অনেকে আবার কর্মসুত্রে বাড়ির থেকে দূরে থাকেন। তাঁদের দায়বদ্ধতা আরও অনেকাংশে বেশি হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, প্রতিটি কর্মীরই সপ্তাহের বাজার, টেলিফোন এবং ইন্টারনেটের বিল বাবদ খরচার সঙ্গে আনুসঙ্গিক আরও অনেক খরচ থেকে থাকে। সব মিলিয়ে প্রতি সপ্তাহেই একটা খরচের লম্বা লিস্ট কিন্তু কম বেশি সকলেরই থেকে থাকে। কর্মীদের সেই ক্ষেত্রে যাতে আর্থিক চাপ কিছুটা কমে সেই জন্যই ইন্ডিয়ামার্টের (Indiamart)তরফে কর্মীদের (Employee) উদ্দেশ্যে এই বিশেষ ভাবনাটি ভাবা হয়েছে।  

আরও পড়ুন-কলকাতা পুরনিগমের আর্থিক সঙ্কট মেটাতে সাহায্য করুক শিল্পপতিরা, আহ্বান অতীন ঘোষের

আরও পড়ুন-বছর শুরুতেই অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর ডবল ধামাকা, সরকারী কর্মীদের বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ল কর্মীদের বেতনও

আরও পড়ুন-২৬ জানুয়ারির আগেই কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মীদের মুখে চওড়া হাসি,বাড়তে পারে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর,বেতন বৃদ্ধির সম্ভবনা

প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়ামার্টের নতুন ভাবনা অনুযায়ী, প্রত্যেক কর্মচারী প্রতি সপ্তাহে নিজেদের পে-চেক (Pay Cheque) পাবেন। সেই টাকা দিয়ে প্রয়োজনীয় খরচ চালাতে পারবেন কর্মচারীরা। অতিমারি পরিস্থিতিতে আজ অনেকেরই গোটা অফিসটাই উঠে এসেছে বাড়িতে। যাকে আমরা পোষাকি নামে ওয়ার্ক ফর্ম হোম বলে অভিহিত করে থাকি। যাতায়াতের খরচ কমলেও বাড়ির ইলেট্রিক বিল সহ ইন্টারনেট ও কাজের পরিবেশর জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বাবদ বেশ কিছু টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়ে থাকে। সেই সঙ্গে কোভিড পরিস্থিতিতে চিকিৎসার খরচ তো আছেই। তাই সাপ্তাহিক পে চেক পেলে কর্মীদের সব দিক দিয়েই সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

তবে এই সিদ্ধান্তের ইতিবাচক দিক যেমন রয়েছে, তেমনই আবার প্রশ্ন উঠছে, সাপ্তাহিক বেতনের ফলে কর্মীদের হাতে নগদ টাকা থাকা কী সম্ভব...তাঁরা কী সঞ্চয় করতে পারবেন....এই নিয়ে একটা বিতর্কের সৃষ্টি হচ্ছে। এই নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও, একটা বিষয় কিন্তু অবশ্যই মনে রাখতে হবে নিউজিল্যান্ড থেকে অষ্ট্রেলিয়া, হংকং-এর মত দেশে সাপ্তাহিক বেতনের প্রথা রয়েছে। মার্কিন মুলুকে শুধু সাপ্তাহিক বেতনই নয়, প্রতি ঘন্টা হিসাবেও বেতন দেওয়ার নিয়ম রয়েছে।