সংক্ষিপ্ত

গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স বা জিএসটি (GST)-এর আওতায় এবার অনলাইন ডাক্তারি কোর্স। মেডিক্যাল কাউন্সিল দ্বারা বাধ্যতামূলক কোর্সগুলিকেও গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স বা জিএসটি-র আওতায় আনা হয়েছে। ঘোষণা কর্নাটকের অথরিটি ফর অ্যাডভান্স রুলিং বা এএআর-এর।  

এবার থেকে অতিথি অধ্যাপক ও জিমের ট্রেনারদের বেতনের ওপর চলবে কাঁচি। এতদিন পর্যন্ত গেস্ট লেকচারর বা অতিথি অধ্যাপক ও জিমের ট্রেনারদের আয়ের ওপর কোনও জিএসটি চাপানো হত না। সেই সব দিন এখন অতীত। সম্প্রতি অথরিটি ফর অ্যাডভান্স রুলিংয়ের (Authority for Advance Ruling) কর্নাটক (Karnataka) বেঞ্চের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে অতিথি অধ্যাপক ও জিম ট্রেনারদের বেতনের ওপর ১৮ শতাংশ পর্যন্ত জিএসটি ধার্য করা হবে। এবার সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে অনলাইন ডাক্তারি কোর্সও (Mediacal Online Course)। মেডিক্যাল কাউন্সিল (Medical Council) দ্বারা বাধ্যতামূলক কোর্সগুলিকেও গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স বা জিএসটি (GST)-এর আওতায় নিয়ে আসার যে প্রবল সম্ভবনা রয়েছে সেই ইঙ্গিতই দিল অথরিটি ফর অ্যাডভান্স রুলিং বা এএআর  (AAR)। শিক্ষাখাতে ওপর করের বোঝা যে ক্রমশ বাড়ার ফলে শিক্ষাব্যবস্থায় এর প্রভাব পড়তে পারে বলে অনুমান বিশিষ্টমহলের। 

কর্ণাটক অথরিটি ফর অ্যাডভান্স রুলিং-র (AAR) তরফে জানান হয়েছে, চিকিৎসকদের জন্য এই কোর্সগুলো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ঠিকই। তবে এবার থেকে এই ধরনের কোর্সগুলোকেও জিএসটি-র আওতায় নিয়ে আসা হবে। করছাড়ের সুবিধাপ্রাপ্তির তালিকায় আর থাকবে না মেডিক্যাল কাউন্সিল (Medical Council) দ্বারা বাধ্যতামূলক কোর্সগুলি। অনলাইন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো (Online Education Institute) স্পষ্টত জানতে চেয়েছিল, যে সমস্ত কোর্সগুলো স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রের পেশাদারিত্বরা বা ছাত্ররা তাঁদের সঠিক শিক্ষাব্যবস্থা চক্রকে পরিপূর্ণ করতে অর্থপ্রদানের মারফত করে থাকে সেগুলো কী জিএসটি-র আওতায় পড়বে। আর যদি অনলাইন পোর্টফোলিও-এর জন্য স্বাস্থ্যক্ষেত্রের তরফে নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ নেওয়া হয় সেক্ষেত্রেও কী জিএওসটি বাধ্যতামূলক নাকি কর ব্যবস্থা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।  

আরও পড়ুন-এবার করের বোঝা চাপতে চলেছে অতিথি অধ্যাপক থেকে জিমের ট্রেনারদের

আরও পড়ুন-ইউনিয়ন বাজেটে প্রভিডেন্ট ফান্ডে নয়া মোড়, বার্ষিক ৫ লাখ টাকা আয়ে সুদে সম্পূর্ণ ছাড়ের পরিকল্পনা

আরও পড়ুন-উনিয়ন বাজেটে প্রত্যাশার পারদ চড়ছে শিক্ষামহলের,ই-লার্নিং থেকে সাইবার সুরক্ষার মত বিষয়ে ফোকাসের আশা

প্রসঙ্গত, অথরিটি ফর অ্যাডভান্স রুলিংয়ের (Authority for Advance Ruling) কর্নাটক (Karnataka) বেঞ্চ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পেশাগত বা প্রযুক্তিগত বা ব্যবসার সঙ্গে সম্পর্কিত যে কোনও পরিষেবা, যদি তা ছাড়ের আওতায় না আসে তবে সাধারণ পরিষেবা করের মতো ১৮ শতাংশ পর্যন্ত জিএসটি -এর আওতায় আসবে। তবে চিকিৎসাক্ষেত্রে কর ব্যবস্থা প্রদানের যে নিদান দিয়েছে কর্ণাটক অথরিটি ফর অ্যাডভান্স রুলিং বা এএআর সেই প্রসঙ্গে মত প্রকাশ করেছেন ভারতের KPMG-এর পরোক্ষ করের পার্টনার হরপ্রীত সিং। তিনি বলেন, শিক্ষা ও চিকিৎসাব্যবস্থা উভয় পরিষেবাই কর ব্যবস্থা থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত, তাই মেডিক্যাল কাউন্সিলের দাবি ছিল, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সকল ব্যক্তিদের কাজের মান বজায় রাখতে পারে তার জন্য এই পরিষেবাকে করমুক্ত রাখা হোক। 

কর্ণাটকের এএআরের মতে, মেডিক্যাল কাউন্সিল দ্বারা অনলাইন কোর্স কোনও নামজাদা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত কোনও ডিগ্রির আওতায় পড়ে না। তাই সেটিকে আর পাঁচটি সাধারণ অনলাইন কোর্সের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। জিএসটি-র নিয়ম অনুযায়ী, যদি অনলাইন মারফত কোনও ডিগ্রি নেওয়া হয় তাহলে সেটি জিএসটি-র আওতার বাইরে থাকে। কিন্তু যদি কোনও কোর্স বা ট্রেনং প্রোগ্রাম অনলাইন মারফত নেওয়া হয় সেটির ওপর নির্দিষ্ট শতাংশ জিএসটি ধার্য করা হয়। আর ঠিক সেই কারনেই অনলাইন ডাক্তারি কোর্স ও মেডিক্যাল কাউন্সিল দ্বারা বাধ্যতামূলক কোর্সগুলিকেও গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স বা জিএসটি (GST)-এর আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্ণাটক এএআর।