সংক্ষিপ্ত
এতদিন পর্যন্ত বার্ষিক ২.৫ লাখ টাকা আয়ের ওপর পি এফের করে ছাড় দেওয়া হত। আগামী বাজেটে সেই টাকার পরিমান দ্বিগুণ করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সরকারী কর্মীদের প্রইডেন্ট ফান্ডের সমতুল্য় করার জন্যই কেন্দ্রের তরফে ২০২২-২৩ অর্থ বর্ষের বাজেটে এই ঘোষণা করা হতে পারে।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে পেশ হতে চলেছে কেন্দ্রের ইউনিয়ন বাজেট (Union Budget)। ২০২২-২৩ অর্থ বর্ষের ইউনিয়ন বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitaraman)। অতিমারি পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের তরফে দ্বিতীয়বার পেশ হতে চেলেছ ইউনিয়ন বাজেট। তাই মানুষের প্রত্যাশার পারদও ক্রমশ চড়ছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বাণিজ্যমহলের তরফে অর্থমন্ত্রককে নিজে দাবি দাওয়া জানিয়ে চিঠি দিয়েছে। আগামী বাজেটে সেগুলোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। ইউনিয়ন বাজেটের (Union Budget) আগে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড (PF) সংক্রান্ত একটি সুখবর আসতে চলেছে বলে একটা আভাস পাওয়া যাচ্ছে। একদিকে যখন সুব্রমনিয়ম স্বামী দেশের সাধারণ নাগরিকদের কাছ থেকে কর না নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে তখন অন্যদিকে প্রভিডেন্ট ফান্ডে (PF) কর (Tax) সংক্রান্ত আরও একটি সুখবর দিতে পারে কেন্দ্র। যতদূর জানা যাচ্ছে, বার্ষিক ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের ওপর (Tax Free Limit On PF Up To 5 Lakh) কর ছাড় দেওয়া হতে পারে। উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত বার্ষিক ২.৫ লাখ টাকা আয়ের ওপর পি এফের করে ছাড় দেওয়া হত। আগামী বাজেটে সেই টাকার পরিমাণ দ্বিগুণ করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সরকারী কর্মীদের প্রইডেন্ট ফান্ডের সমতুল্য় করার জন্যই কেন্দ্রের তরফে ২০২২-২৩ অর্থ বর্ষের বাজেটে এই ঘোষণা করা হতে পারে।
২০২১-২২ সালের আর্থিক বছরের ইউনিয়ন বাজেটে সরকার ঘোষণা করেছিল যে সকল চাকুরিজীবী মানুষের আয় বার্ষিক ২.৫ লাখ তাঁরা প্রভিডেন্ট ফান্ডে করের আওতার বাইরে থাকবেন। পরে অবশ্য সেই টাকার পরিমান বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, অর্থবিল সংশোধন করেই প্রভিডেন্ট ফান্ডে করমুক্ত টাকার পরিমান ২.৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত করা হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত এই পরিবর্তনের সুবিধা ভোগ করতেন সরকারী উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা। তাঁরাই একমাত্র করমুক্ত প্রভিডেন্ট ফান্ডের আওতায় পড়তেন। তবে এবার থেকে যে সকল কর্মীর আয় বার্ষিক ৫ লাখ টাকা তাঁদেরকে আর প্রভিডেন্ট ফান্ডের জন্য কোনও রকম কর প্রদান করতে হবে না।
আরও পড়ুন-অতিমারি পরিস্থিতিতে সাধারণকে করে সম্পূর্ণ ছাড় দেওয়া হোক, আর্জি সুব্রমনিয়ম স্বামীর
একটি রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই নতুন নিয়ম কার্যকরী করার জন্য সরকারের কাছে বহু প্রতিবেদন জমা পড়েছে। এতদিন পর্যন্ত সরকারী কর্মীদের একাংশ এই সুবিধা পেয়ে থাকতেন। এবার থেকে যাতে সকল চাকুরীজীবী মানুষ এই একই সুবিধার আওতায় চলে আসেন। সকলে যদি একই সুবিধার আওতায় এনে বেতনভোগী কর্মচারীদের মধ্যে বৈষম্য দূর করাও প্রয়োজন।