সংক্ষিপ্ত

ভারতে কোভিডের তৃতীয় তরঙ্গ বিদায় নিয়েছে। তবে সম্পূর্ণ রূপে ভিন্ন রূপ আসা না পর্যন্ত এদেশে চতুর্থ তরঙ্গ হবে না।  এমনটাই জানিয়েছেন ভাইরোলজিস্ট ডক্টর টি জ্যাকব জন। 

 

ভারতে কোভিডের ( Coronavirus) তৃতীয় তরঙ্গ বিদায় নিয়েছে। তবে সম্পূর্ণ রূপে ভিন্ন রূপ আসা না পর্যন্ত এদেশে চতুর্থ তরঙ্গ হবে না। ভারতে এই মুহূর্তে চতুর্থ তরঙ্গের কোনও ইশারা নেই। তবে বাইরাস কোনওদিনই পুরোপুরি মিলিয়ে যাবে না। ছোটখাট রোগে পরিণত হবে। এমনটাই জানিয়েছেন ভাইরোলজিস্ট ডক্টর টি জ্যাকব জন ( Virologist Jacob John)। 

ভারত থেকে করোনাভাইরাসের  তৃতীয় তরঙ্গ বিদায় নিয়েছে বলেই বার্তা দিলেন  ভাইরোলজিস্ট ডক্টর টি জ্যাকব জন। তবে অনেকেরই এতদিনে মনে মনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, এবার বুঝি ঝাঁপিয়ে পড়বে চতুর্থ তরঙ্গ ভারতে। তবে এমন কোনও ইঙ্গিত এখনও মেলেনি। বরং অভয় দিয়ে  ভাইরোলজিস্ট ডক্টর টি জ্যাকব জন জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ রূপে ভিন্ন রূপ আসা না পর্যন্ত ভারতে চতুর্থ তরঙ্গ হবে না। দেশে এই মুহূর্তে চতুর্থ তরঙ্গের কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। তবে যদি না আলফা, বিটা, গামা, বা ওমিক্রন থেকে একটা ভিন্ন রূপে আচরণ না করে, তাহলে সেখানে চতুর্থ তরঙ্গ থাকবে না। ভারত মহামারির শেষ পর্যায়ে পৌছে গিয়েছে বলে জানান জ্যাকব। আক্রান্ত এবং দৈনিক গড় বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস রোগটি একটি স্থানীয় রোগে পরিণত হয়েছে। এদেশে কোভিডের কোনও নয়া রূপকে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। আর এখানেই আশার আলো দেখেছেন ভাইরোলজিস্ট ডক্টর টি জ্যাকব জন। তবে বাইরাস কোনওদিনই পুরোপুরি মিলিয়ে যাবে না। ছোটখাট রোগে পরিণত হবে। মাঝে মাঝেই প্রার্দুভাব ঘটবে।

সরকারের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, মঙ্গলবার ভারতে ৩,৯৯৩ টি নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে। যা কিনা গত ৬৬২ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন হয়েছে।  ভাইরোলজিস্ট ডক্টর টি জ্যাকব জন এখন জিন সিকোয়েন্সিংয়ের উপর নজর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মিউটেশন সনাক্ত করার জন্য এটা জরুরী। জ্যাকব বলেছেন,  ইনফ্লুয়েনজা মহামারি দুই বা তিনটি তরঙ্গের পরই শেষ হয়ে যায়। এক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটবে। তিনি আরও বলেছেন,   SARS--CoV-2 মিউটেশনের বিকাশ অব্যহত রাখবে। কিছু মিউটেশন অ্যান্টিজনিক ড্রিফট ঘটাবে। এই ভাইরাসগুলি ছোটো খাটো আউটব্রেকের কারণ হতে পারে।  প্রসঙ্গত ,আগেরবার কোভিডের তৃতীয় থেকে কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গই বেশি তছনছ করে দিয়েছে। প্রচুর মানুষ ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তবে ওমিক্রনে সেভাবে প্রাণ হানি ঘটেনি বলেই সূত্রের খবর।