সংক্ষিপ্ত
- দিল্লিতে চিকিৎসকের মৃত্যু
- ফুটপাথের গৃহহীনদের নিয়ে কাজ করতেন তিনি
- ৬০ বছর বয়স হয়েছিল
- হাসপাতালে শয্যা না পাওয়াতেই মৃত্যু
বছরখানের আগে গোটা দেশ থালা বাজিয়ে মোমের আলো জ্বালিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের। চিকিৎসক স্বাস্থ্য কর্মীসহ প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের উদ্দেশ্য হাসপাতালে পুষ্প বৃষ্টি করেছিল ভারতীয় বিমান বাহিনী। কিন্তু তারপরেও দেশের চিকিৎসকদের দুরাবস্থা ঘুচল না। আবারও সেই করুণ ছবিটা সামনে এল করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গ শুরু হওয়ার পরেই। দিল্লিতে হাসপাতালে শয্যা না পেয়েই অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয় চিকিৎসক রাজদীপ বিজওয়ানের। গতশুক্রবার মৃত্যু হয় ৬০ বছরের এই চিকিৎসকের।
শুধু চিকিৎসক হিসেবেই দেশের প্রতি কর্তব্য পালন করে থেমে থাকেননি। দেশের সাধারণ মানুষের দিকেও বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সাহায্যের হাত। প্রয়াত চিকিৎসক প্রায় এক দশক ধরে দিল্লির গৃহহীন মানুষদের নিয়ে কাজ করছিলেন। করোনা-কালে তাঁদের দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। আইএএস অফিসার ও মানবাধিকার কর্মী হর্ষ মান্দারের সঙ্গে স্ট্রিট মেডিসিন প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছিলেন বিজালওয়ান। এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিল দিল্লির গৃহহীনদের কাছে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া। প্রয়াত চিকিৎসকের ঘনিষ্টরা জানিয়েছেন রাতের পর রাত জেগে গৃহহীনদের কাছে চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছেন তিনি। কারণ গৃহহীনদের নিয়ে একমাত্র রাতেই কাজ করা সম্ভব। প্রয়াত চিকিৎসর ১০০ জন গৃহহীনের চিকিৎসার দায়িত্বও গ্রহণ করেছিলেন।
হর্ষ মন্দার জানিয়েছেন প্রয়াত চিকিৎসক করোনা কালেই সাধারণের জন্য কাজ করে গেছেন। জামা মসজিদ এলাকায় মীনা বাজারের কোভিড ক্লিনিকগুলিতে কাজ করেছেন তিনি। কাজ করতে গিয়েই তিনি সংক্রমিত হয়েছিলেন বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। চিকিৎসক হওয়ায় প্রদীপ জানতেন তাঁর কী হয়েছে। একাধিকবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু শয্যা পাওয়া যায়নি। অক্সিজেনের অভাবে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। ধীরে ধীরে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাতেই মৃত্যু হয় চিকিৎসকের। হর্ষ মন্দার জানিয়েছেন হাসপাতাল যদি একটি শয্যা পাওয়া যেত তাহলে জনদররী এই চিকিৎসককে বাঁচানো যেত।