সংক্ষিপ্ত
- কাজে আসছে না প্লাজমা থেরাপি
- আইসিএমআরের নয়া পর্যবেক্ষণ
- ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন থেকে বাদ প্লাজমা থেরাপি
- নতুন নির্দেশিকা থেকে বাদ প্লাজমা থেরাপি
প্লাজমা থেরাপি দীর্ঘদিন ধরেই করোনার মোকাবিলায় ব্যবহার করা হয়ে আসছে। তবে এবার আইসিএমআরের পর্যবেক্ষণ খুব একটা কাজে আসছে না প্লাজমা থেরাপি। তাই একে ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন থেকে বাদ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। করোনার অন্যতম চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের ওপর প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হত।
কিন্তু সোমবার অর্থাৎ ১৭ই মে থেকে নতুন প্রকাশিত গাইডলাইনে প্লাজমা থেরাপিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আগের নির্দেশিকায় করোনার মোকাবিলায় ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল রেমডিসিভির, Tocilizumab (off-label) ও কনভালেসেন্ট প্লাজমা (Off label)কে। তবে নতুন নির্দেশিকায় এই প্লাজমা থেরাপিকে বাদ দিয়ে শুধু মাত্র রেমডিসিভির ও Tocilizumab (off-label)কে রাখা হয়েছে।
মারণ করোনা ভাইরাস ঠেকাতে প্লাজমা থেরাপি খুব একটা কাজে আসছে না বলে দাবি আইসিএমআর-এর। এই নিয়ে বিশেষ বৈঠকে বসে আইসিএমআর ও জাতীয় টাস্ক ফোর্স। দুই পক্ষ থেকেই প্লাজমা থেরাপিকে বাদ দেওয়ার ব্যাপারে সায় দেওয়া হয়েছে। করোনা মোকাবিলার শুরু থেকেই কম উপসর্গযুক্ত করোনা রোগীকে প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে সুস্থ করা হত। অনেক করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীও প্লাজমা দান করেছেন।
প্লাজমা থেরাপির কার্যকারিতা কমছে, এই দাবি করে প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইসর কে বিজয় রাঘবনকে চিঠি লেখেন বেশ কয়েকজন গবেষক। তাঁদের দাবি ছিল ভারতে প্লাজমা থেরাপির ব্যবহার অযৌক্তিক ও অবৈজ্ঞানিক।
এদিকে, গত কয়েকদিন ধরেই করোনা সংক্রমমের সংখ্যা চার লক্ষের গণ্ডি পেরিয়েছিল। ঝড়ের বেগে ছড়িয়ে পড়া এই মারণ ভাইরাস কেড়েছিল সাধারণ মানুষের রাতে ঘুম। সেই পরিস্থিতিতেই কীভাবে সংক্রমণ ঠেকানো যায় তা নিয়ে রাত-দিন এক করে বিভিন্ন মহলে চলছিল পর্যালোচনা। বেশ কয়েকটি রাজ্য বেছে নিয়েছিল লকডাউনের রাস্তা।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এলো আড়াই লাখের কাছে। মোট আক্রান্ত হয়েছে এদিন ২,৬৩,৫৩৩ জন। তবে কিছুতেই কমছে না মৃত্যুর হার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা প্রাণ কেড়েছে ৪৩২৯ জনের। এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩১,৮২,৯২,৮৮১ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮,৬৯,২২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়, যার মধ্যে আড়াই লাখ পজিটিভ।