সংক্ষিপ্ত
- ফের করোনা যুদ্ধে নতুন দিষা দেখাল আইআইটি
- আগেই করোনা পরীক্ষার কিট আবিষ্কার করেছেন গবেষকরা
- এবার একটি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করলেন তাঁরা
- এই অ্যাপের সাহায্যে জানা যাবে আক্রান্তর সংস্পর্শে কারা ছিলেন
বিশ্বে দাবানলের মত ছড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ। এখনও পর্যন্ত গোটা দুনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৮০ হাজার। মারা গিয়েছেন ২৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভারতেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে ৯০০ গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে সংক্রমণের ঘটনা। এই রোগ নির্ণয়ের প্রধান সমস্যা হল, সংক্রমণের লক্ষ্য ফুঁটে উঠতে ২ থেকে ১৪ দিনের মত সময় লাগে। এই পরিস্থিতিতে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্কর্শে কারা কারা এসেছেন, তাদের প্রত্যেককে খুঁজে বার করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
তবে এই সমস্যার সমাধানে নতুন দিশা দেখাতে চলেছে ভারতের সেরা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি। আইআইটি দিল্লির একদল গবেষক মিলে বানিয়ে ফেলেছেন এমন অকটি অ্যাপ্লিকেশন, যার সাহায্যে কোভিড ১৯ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে কারা কারা এসেছেন তাঁদের সন্ধান পাওয়া যাবে।
আইআইটি দিল্লির ৫ পড়ুয়া বিকাস উপাধ্যায় ( কম্পিউটার সায়েন্সে পিএইচডি করছেন), গুলশন জাহাগিদ, পঙ্কজ সিং( দু'জনেই কম্পউটার সায়েন্সে স্নাতক স্তরে রয়েছেন), আঁচল শর্মা ও আরশাহ নাসির (ডিসাইন বিভাগের পিএইচডি পড়ুয়া) মিলে বানিয়েছেন এই অ্যাপ্লিকেশনটি।
নিজের পুরনো রেকর্ড ফের ভাঙল ইতালি, একদিনে মৃতের সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলল হাজার
চিনে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ৫৪, বিদেশিদের ঘাড়ে দোষ চাপাতে ব্যস্ত জিংপিং প্রশাসন
পথে নামল করোনা, সচেতনতা বাড়াতে নিজেই ভাইরাস সাজলেন পুলিশকর্তা, নিমেশে হলেন ভাইরাল
এই অ্যাপ্লিকেশনের সাহায্যে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির ২ মিটারের মধ্যে কোন কোন ব্যক্তি ছিলেন তা সহজেই সনাক্ত করা যাবে। এটি তৈরি করতে ব্লুটুথ প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েছেন গবেষকরা। ব্যবহারকারীকে একবার মাত্র রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এখানে।
কয়েকদিন আগে আইআইটি দিল্লির আরও কয়েকজন গবেষক মিলে দেশবাসীকে স্বস্তির খবর দিয়েছিলেন। তারা এমন একটি কিট তৈরি করেছেন, যার সাহায্যে করোনাভাইরাস সনাক্ত করা যাবে। গবেষকরা জানিয়েছেন , সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে এই কিট এমনভাবেই তৈরি করা হয়েছে, যা বাজার থেকে অনেক সস্তায় কেনা যাবে। আইআইটি দিল্লির গবেষকদের আবিষ্কৃত করোনা পরীক্ষার এই কিট এবং অ্যাপ্লিকেশন মানুষের নাগালে চলে আসলে মারণ ভাইরাসকে কাবু করা অনেক সহজ হয়ে যাবে তা বলাই বাহুল্য।