সংক্ষিপ্ত
- সুরাটে অভিবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ঝামেলা
- লাঠি চালাল পুলিশ
- ফাটানো হল টিয়ার গ্যাসের শেল
- গ্রেফতার ৯৬ শ্রমিক
বন্ধ কারখানা। কাজ নেই। ধীরে ধীরে কমে আসছে সঞ্চয়ও। এই পরিস্থিতিতে বাড়ি ফিরতে চেয়েছিলেন গুজরাটের সুরাটের একটি বন্ধ কাপড়ের কলের শ্রমিকরা। লকডাউনের সুরাটে রীতিমত স্তব্ধ জনজীবন। এই অবস্থায় বাড়ি ফেরার জন্য মরিয়া শ্রমিকরা কোনও যানবাহন যোগাড় করতে না পেরে পায়ে হেঁটেই পাড়ি দেন । কিন্তু পথে আটকায় পুলিশ। তারপরই শ্রমিকরা পুলিশকেই বলে বাড়ি পৌঁছে দিতে। প্রথমে শুরু হয় বচসা। পরে তা পৌঁছে যায় হাতাহাতিতে।
বন্ধ কাপাড় ও কাগজ কলের শ্রমিকরা কিছুক্ষণ পরই ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেন। সেই সময় বেশ কয়েকজন বিক্ষুদ্ধ শ্রমিক পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁট ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। তারপরই প্রায় ৫০০ শ্রমিক জড়ো হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাচ্ছে দেখে প্রথমে পুলিশ উত্তেজিত অভিবাসী শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চার্জ করে। কিন্তু তাতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তারপরই পুলিশ উত্তেজিত শ্রমিকদের ছাত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। প্রায় ৩০টি কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়া হয় বলে জানান হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে।
আরও পড়ুনঃশেষযাত্রায় কাছে ছিল না পরিবার, করোনাভাইরাসে মৃতের শেষকৃত্য স্বাস্থ্য কর্মীদের হাতে
আরও পড়ুনঃ জীবানুমুক্ত করতে রাসায়নিক-স্নান, যোগী-রাজ্যে চোখ হারানোর দশা পরিযায়ী শ্রমিকদের
সুরাট পুলিশের পক্ষ থেকে আরও জানান হয়েছে উত্তেজিত শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশের তিনটি গাড়ি রীতিমত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৯৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সুরাটের কাগজ ও কাপড়ের কলগুলিতে কাজ করতে আসেন মূলত উত্তর প্রদেশ ও বিহারের শ্রমিকরা। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাকেই হাতিয়ার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই পরিস্থিতিতে লকডাউনের কথা ঘোষণা করা হয়েছে গোটা দেশ জুড়েই। তাই বন্ধ হয়েগেছে দেশের অধিকাংশ কলকারখানা। এই পরিস্থিতিতে বাড়ি ফিরতে মরিয়া অভিবাসী শ্রমিকরা। সড়ক পথে যোগাযোগ প্রায় স্তব্ধ। তাই বাড়ি ফিরতে মরিয়া শ্রমিকরা পায়ে হেঁটেই রওনা দিচ্ছেন গন্তব্যের দিকে। সুরাতের প্রশাসন জানিয়েছেন অনেক শ্রমিকই জাতীয় সড়ক দিয়ে প্রায় কুড়ি কিলোমিটার হেঁটে চলে এসেছিলেন। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে প্রথমে শ্রমিকদের বোঝান হয়েছিল। কিন্তু যানবাহন না পেয়ে পায়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরতে মরিয়া ছিল শ্রমিকরা। তাদের কিছুতেই থামান যাচ্ছিল না। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের পক্ষ থেকে কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে বলেও জানান হয়েছে।