সংক্ষিপ্ত
একদিনে ভারতের দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ২৭ শতাংশ বাড়ল। ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১২৭০।
একদিনে ভারতের দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ২৭ শতাংশ বাড়ল। ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১২৭০। ফের ভারতে বিরাট বড় ঢেউ এল কোভিড-১৯ (COVID-19) সংক্রমণের। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Union Health Ministry) জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে নতুন দৈনিক করোনা সংক্রমণের ঘটনা সনাক্ত হয়েছে ১৬,৭৬৪, গতকালের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি। ফলে, এই নিয়ে টানা তৃতীয় দিন বাড়ল দৈনিক নতুন করোনা রোগীর সংখ্যা। এই সময়কালে করোনা জনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ২২০ জনের। মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩,৪৮,৩৮,৮০৪-এ।
ভারতে ওমিক্রন (Omicron) কেসের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৭০-এ। সব থেকে বেশি ওমিক্রন কেসের সংখ্যা এখন মহারাষ্ট্রে, ৪৫০। এই রাজ্য থেকে এদিন ভারতের প্রথম ওমিক্রন রোগীর মৃত্যুর খবরও রিপোর্ট করা হয়েছে। পুনেতে গত ২৮ ডিসেম্বর, নাইজেরিয়া থেকে ফেরা এক ৫২ বছর বয়সী ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল। এনআইভি এদিন জানিয়ে দিয়েছে তিনি ওমিক্রন আক্রান্ত ছিলেন। তিনি ডায়াবেটিসের মতো সহ অসুস্থতাতেও ভুগছিলেন। ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে আছে দিল্লি, আক্রান্ত ৩২০ জন। তৃতীয় স্থানে থাকা কেরলের ওমিক্রন কেসের সংখ্যা ১০৯। গুজরাট এখনও ১০০-য় পৌঁছায়নি, আছে ৯৭-এ।
এছাড়া, গত ২৪ ঘন্টায় ৭,৫৮৫ জনে করোনামুক্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আর দেশে চিকিৎসাধীন কোভিড রোগীর সংখ্যা বর্তমানে ৯১,৩৬১ এবং সুস্থতার হার ৯৮.৩৬ শতাংশ। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য বলছে, বর্তমানে কোভিড সংক্রমণের দৈনিক গড় সংখ্যা বৃদ্ধি, গত মার্চ-এপ্রিলে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের সময়ের তুলনায় প্রায় ২১ শতাংশ দ্রুত গতিতে হচ্ছে।
এদিন মহারাষ্ট্র থেকে প্রায় ৫,৩৬৮ টি করোনভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। আগের দিনের তুলনায় ৩৭ শতাংশ বেশি। ভারতের আর্থিক রাজধানীতে গত সপ্তাহের তুলনায় দৈনিক করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংখ্য়া পাঁচগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে! শুক্রবার মুম্বইয়ে মোট ৬৮৩ টি করোনা সংক্রমণ হয়েছে। সংক্রমণ বেড়েছে দিল্লি, গুরগাঁও, কলকাতা, বেঙ্গালুরুর মতো অন্যান্য বড় শহরগুলিতেও। দিল্লিতে নতুন কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা হয়েছে ১৩১৩। ৭ মাস পর দিল্লির দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ১০০০ অতিক্রম করল। আগের দিনের পরিসংখ্যানের তুলনায় বেড়েছে ৪২ শতাংশ। তবে রাজধানীর স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। করোনার পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো, আক্রান্তদের যোগাযোগের অনুসন্ধান, পরীক্ষায় ইতিবাচক ফল আসা ব্যক্তিদের যথাযথ বিচ্ছিন্নতা বা পৃথকীকরণ নিশ্চিত করা, টিকাকরণের গতি বাড়ানো, কন্টেইনমেন্ট জোন ও বাফার জোন স্থাপন এবং যে কোনও জরুরি অবস্থার জন্য হাসপাতাল ও কোভিড কেন্দ্রগুলিকে প্রস্তুত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।