সংক্ষিপ্ত

গুলেরিয়া জানিয়েছন, ভারত তৃতীয় তরঙ্গের তেমন প্রকোপ পড়েনি। ভারতের টিকা অভিযানেরের কারণেই তৃতীয় তরঙ্গকে ঠেকিয়া রাখা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরও বলেন ভারতের টিকা অভিযান বিশ্বের বাকি দেশগুলির কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ মডেল।

ভারতের টিকাকরণ অভিযান (vaccination drive) তৃতীয় তরঙ্গের (Third Wave) সময় তীব্রতা হ্রাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে। শুক্রবার ইনস্টাগ্রাম লাইভ সেশনের সময় এমনটাই দাবি করেছিলেন এআইআইএমস (AIIMS)এর চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া (Randeep Guleria)। এদিন স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রকের তরফ থেকে এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। 

গুলেরিয়া জানিয়েছন, ভারত তৃতীয় তরঙ্গের তেমন প্রকোপ পড়েনি। ভারতের টিকা অভিযানেরের কারণেই তৃতীয় তরঙ্গকে ঠেকিয়া রাখা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরও বলেন ভারতের টিকা অভিযান বিশ্বের বাকি দেশগুলির কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ মডেল। অনেকেই ভারতের টিকা অভিযানকে অনুসরণ করেছে। গবেষণা, উৎপাদন থেকে শুরু করে  টিকা বিতরণ- সর্বক্ষেত্রেই যথেষ্ট পরিমাণে সফল হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিশ্বকে টিকা ইস্যুতে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ভারত। 

তিনি আরও বলেন প্রত্যেক ভারতীয় একজন কোভিড যোদ্ধা। দেশের সব মানুষের প্রচেষ্টা আর যোগদানের ফলেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয় গুরুত্বপূর্ণভূমিকা গ্রহণ করতে পেরেছে ভারত। 


অন্যদিকে একটি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানিয়েছেন তাঁদের সরকার টিকা প্রস্তুককারকদের বলেছিলন, ভারতে যদি ব্যবসা করতে হয় তাদের ভারতের দেওয়া শর্ত ও বিধিনিধেষ মানতে হবে। টিকা প্রস্তুতকারকদের শর্তগুলি তারা মানতে  বাধ্য নন বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন কেন্দ্রীয় সরকার, সরাসরি চুক্তির দায় মুকুফ ও অন্যান্য আপত্তিকর শর্তাবলীগুলি মানতে অস্বীকার করেছে। তারা সার্বভৌম গ্যারান্টি মুকুফও চেয়েছিল। কিন্তু প্রাধননন্ত্রী ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি পরিদর্শন করেছেন। বিজ্ঞানী ও নির্মাতাদের উদ্বুদ্ধ করেছেন। ভারত ৯ মাসের মধ্যেই দেশে মেক ইন ইন্ডিয়া টিকা চালু করেছে। 

এদিনের অনুষ্ঠানে নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পল বলেছেন এই দেশের সরকার সর্বদা অন্যান্য টিকা প্রস্তুতকারকদের ভারতের মাটিতে টিকা তৈরি ও ভারতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। কিন্তু টিকা প্রস্তুতকারকদের শর্ত ছিল দায় মুক্ত হওয়ার। তাতে কখনই রাজি হয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। সেই কারণে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি টিকা হাতে না আসার আগে পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার দেশবাসীকে টিকা দিতে পারেনি।