সংক্ষিপ্ত
মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শনিবার রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ৪৩৪ জন। করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৬৭১ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের।
মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) হু হু করে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। দেশের মধ্যে সংক্রমিতের পরিমাণ বেশি এই রাজ্যেই। এই পরিস্থিতিতে রাতের কার্ফুর (Night Curfew) পথে হাঁটতে চলেছে মহারাষ্ট্র। ১০ জানুয়ারি থেকে নাইট কার্ফু জারি হচ্ছে সেখানে। রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত এই বিধি লাগু থাকবে।
মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শনিবার রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ৪৩৪ জন। করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৬৭১ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। আর রাজ্যে করোনার নতুন রূপ ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯। এই পরিস্থিতিতে দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ (Third Wave) আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। আর সেই কারণেই আগে থেকে সতর্ক করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্যে নাইট কার্ফু জারি করার সিদ্ধান্ত মহারাষ্ট্র সরকারের।
করোনা গাইডলাইন (Covid Guidelines) অনুযায়ী, ভোর ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ৫ জন বা তার বেশি সংখ্যক মানুষের জমায়েত নিষেধ করা হয়েছে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত যে কোনও গতিবিধিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল, কলেজ ও অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পরবর্তী নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত স্যুইমিং পুল, জিম, স্পা, বিউটি পার্লার, চিড়িয়াখানা, মিউজিয়াম এবং বিনোদন পার্ক বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। তবে শপিং মল ও বাজারগুলিকে করোনাবিধি মেনে খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবশ্য সেখানে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ জমায়েত করতে পারবেন না।
এছাড়া মহারাষ্ট্রের হোটেল ও রেস্তরাঁগুলিকে ৫০ শতাংশ আসন নিয়ে সকাল ৮ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে শুধুমাত্র করোনা টিকা সম্পূর্ণ হয়েছে এমন ব্যক্তিই একমাত্র সেখানে বসে খাওয়ার সুযোগ পাবেন। অন্যদিকে, সিনেমা হল, অডিটোরিয়ামগুলি রাত ১০ টা পর্যন্ত ৫০ শতাংশ আসন নিয়ে কাজ করবে। বিয়ের অনুষ্ঠানে ৫০ জন, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া এবং শেষকৃত্যে ২০ জন, সামাজিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সমাবেশে ৫০ জনের অনুমতি রয়েছে। নির্দেশিকা আরও বলা হয়েছে, শুধুমাত্র সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের গণপরিবহনে অনুমতি দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- মৃদু ওমিক্রন সংক্রমণ 'বিবর্তনীয় ভুল', রীতিমত সতর্ক করলেন কেমব্রিজের বিশেষজ্ঞ
খোলা থাকবে সরকারি অফিস। কিন্তু, সেখানে প্রবেশ করতে পারেবনে না সাধারণ মানুষ। শুধুমাত্র অফিস প্রধানদের কাছ থেকে লিখিত অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদেরই সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। আর বেসরকারি অফিসগুলিকে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে চালু রাখতে বলা হয়েছে। শুধুমাত্র সম্পূর্ণ টিকাকরণ হয়ে গেছে, এমন কর্মীরাই অফিস যেতে পারবেন।
এছাড়া অন্য কোনও রাজ্য থেকে মহারাষ্ট্রে যাওয়ার বিষয়ে কিছু কড়াকড়ি করা হয়েছে। অন্য রাজ্য থেকে যদি কেউ মহারাষ্ট্রে যান তাহলে তাঁকে করোনা টিকার দুটি ডোজের সংশাপত্র থাকতে হবে। এছাড়া ভ্রমণের ৭২ ঘণ্টা আগে করা আরটি-পিসিআর পরীক্ষার রিপোর্টও বাধ্যতামূলক বলে জানানো হয়েছে। বিমান, রেল ও বাস যাত্রার ক্ষেত্রে এটি কার্যকর হবে।
লোকাল ট্রেনগুলিতে কোনও পরিবর্তন নেই। সমস্ত গণপরিবহন যথারীতি চলবে। তবে কেবলমাত্র সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের অনুমতি দেওয়া হবে। জাতীয় স্তরে অনুষ্ঠিত সমস্ত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা ভারত সরকারের নির্দেশিকা অনুসারে হবে।