সংক্ষিপ্ত
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছিলেন ২৪ ডিসেম্বর। সেখানে তিনি আধিকারিকজের সতর্ক ও সাবধান থাকার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন ভারতে করোনাভাইরাসের তৃতীয় তরঙ্গ আছড়ে পড়তে পারে। মাত্র ১৫ দিন পরে আবারও কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করলেন মোদী।
দেশের করোনাভাইরাস (Coronavirus) সংক্রান্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে রবিবার সন্ধ্যায় একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। বর্তমানে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের কথায় দেশ তৃতীয় কোভিড ১৯ (Covid-19) তরঙ্গের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে দেড় লক্ষেরও বেশি মানুষ। সূত্রের খবর প্রধানমন্ত্রী এদিন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকের পাশাপাশি দেশের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গেও আলোচনা ও পর্যালোচনা করেন। সুষ্ঠুভাবে দেশে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করাই তাঁর একমাত্র উদ্দেশ্য। সেইমত কাজ করতেও তিনি পরামর্শ দিয়েছেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছিলেন ২৪ ডিসেম্বর। সেখানে তিনি আধিকারিকজের সতর্ক ও সাবধান থাকার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন ভারতে করোনাভাইরাসের তৃতীয় তরঙ্গ আছড়ে পড়তে পারে। মাত্র ১৫ দিন পরে আবারও কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করলেন মোদী। সূত্রের খবর এবারের বৈঠক আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আগামী মাসে থেকেই উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব, গোয়া, মণিপুর, উত্তরখণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। যারমধ্যে উত্তর প্রদেশ ও পঞ্জাবে আক্রান্তের সংখ্যা বেশ বেশি। উত্তর প্রদেশে ভোট হবে ৭ দফায়।
সেই বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, নতুন রূপের পরিপ্রেক্ষিতে গোটা দেশের বাসিন্দাদেরই সতর্ক ও সাবধান থাকা জরুরি। কারণ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই এখনও পর্যন্ত শেষ হয়নি। তিনি আরও বসেছিলেন, কোভিড ১৯ সংক্রান্ত সমস্ত বিধি মেনে চলা অত্যান্ত জরুরি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকের পর থেকেই রাজ্যগুলি কোভিড নিয়ে কিছুটা হলেও সতর্কতা অবলম্বন করে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে জারি করা হয়েছিল নাইট কার্ফু। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি রাজ্য আংশিক লকডাউনের পথে হেঁটেছে।
তবে এখনও যে দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নয় তা স্পষ্ট করে দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে টিক দ্রুত টিকা নেওয়ার আর্জি জানান হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্যে ভারতের এই দিন করোনা পরিজিটিভিটি রেট ১০.২১ শতাংশ। যা কিছুটা হলেও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্টে এদিন আক্রান্তের ক্রমতালিকায় শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র, দ্বিতীয় স্থানে কেরল, তৃতীয় স্থানে কর্নাটক, তারপর রয়েছে তালিমনাড়ু।