সংক্ষিপ্ত
ফিরহাদের দাবি, "জ্বর, সর্দি, কাশি হলেও কলকাতার ৮০ শতাংশের মধ্যে কোনও উপসর্গ নেই। ২০ শতাংশের মধ্যে উপসর্গ রয়েছে। আবার তার মধ্যে তিন শতাংশ রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে।"
রাজ্যে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের (Daily Corona Cases) সংখ্যা। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের (West Bengal Health Department) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৪৫১ জন। তার মধ্যে শুধু কলকাতাতেই (Kolkata) আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ছুঁইছুঁই। তার জেরে বাড়ছে উদ্বেগ। ইতিমধ্যেই হাসপাতালগুলিকে (Hospital) প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এর মধ্যেই কলকাতায় মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন (Micro Containment Zone) তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরনিগম (Kolkata Municipal Corporation)। শুক্রবার এই সংক্রান্ত বৈঠক ছিল। বৈঠক শেষে মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) জানিয়েছেন, কলকাতায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তবে ৮০ শতাংশের শরীরে কোনও উপসর্গ নেই। আর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন ৩ শতাংশ। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে কনটেনমেন্ট জোন তৈরি হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন।
ফিরহাদের দাবি, "জ্বর, সর্দি, কাশি হলেও কলকাতার ৮০ শতাংশের মধ্যে কোনও উপসর্গ নেই। ২০ শতাংশের মধ্যে উপসর্গ রয়েছে। আবার তার মধ্যে তিন শতাংশ রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে।" তিনি আরও বলেন, "যেহেতু বহু মানুষের করোনার টিকা (Corona Vaccine) নেওয়া হয়ে গিয়েছে, তাই এখন অল্প দিনেই মানুষ করোনামুক্ত হয়ে যাচ্ছেন। যে সব পুরকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা চাইলে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পাঁচদিন পর ফের করোনা পরীক্ষা করাতে পারেন। রিপোর্ট নেগেটিভ এলেই কাজে যোগ দিতে পারেন তাঁরা। পাশাপাশি পুরসভার পক্ষ থেকে তাঁদের বাড়িতে ফোনে যোগাযোগ করে সব খবর নেওয়া হবে।"
আরও পড়ুন- কাদের টেস্ট করা জরুরি, রাজ্যকে নির্দেশিকা দিল কেন্দ্র
কলকাতা পুরনিগমে বৈঠকে বসেছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ-সহ পুরসভার স্বাস্থ্য কর্তারা। সূত্রের খবর, সেখানেই প্রাথমিকভাবে শহরের ১৭টি জায়গাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর এই সব এলাকায় পাঁচ জনের বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানতে পারা গিয়েছে। মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন কীভাবে তৈরি করা হবে সেই প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, "যদি একটি ফ্ল্যাটে ৫ জন করোনা আক্রান্ত হন, তাহলে ওই আবাসনকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। ওই আবাসনের লিফট স্যানিটাইজ করতে হবে। আবাসনের সুইমিং পুল, জিম বন্ধ করে দেওয়া হবে।"
আরও পড়ুন- বর্ষশেষে রাজ্যে ফের বাড়ল সংক্রমণ, একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৩ হাজার
এদিকে কলকাতায় সংক্রমণ প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। কোনভাবেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছিল যে তাহলে কি ফের লকডাউনের পথে হাঁটবে রাজ্য সরকার? যদিও সে প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, করোনা বাড়লেও এখনই লকডাউনের পথে যাবে না রাজ্য। প্রয়োজনে কনটেনমেন্ট জোন করা হতে পারে। সেই মতো এবার কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করার কাজ শুরু করল কলকাতা পুরনিগম। অন্যদিকে, রাজ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।