সংক্ষিপ্ত
করোনায় মৃত্য়ু হয়েছে নাকি মাত্র ১৮০ জন ফ্রন্টলাইনারের। তথ্য দিতেই হাইকোর্টে ধমক খেল রাজ্য সরকার।
রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য বিশ্বাসই করল না কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার, কোভিড-১৯ বীমা প্রকল্পের বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি-সহ বেশ কয়েকটি আবেদনের শুনানিতে, করোনায় মৃত্য়ু সংক্রান্ত প্রকৃত তথ্য না থাকার বিষয়ে রাজ্য সরকারকে তিরস্কার করল কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যে কোভিডে ১৮০ জন ফ্রন্টলাইনারের মৃত্যু হয়েছিল বলে জানিয়েছিল সরকার। আদালত, মৃত্যুর সংখ্যা এত কম হতে পারে না দাবি করে রাজ্যকে বলেছে, 'এই প্রোপাগান্ডা কাউকে সাহায্য করবে না'।
এদিনের শুনানিতে, আবেদনকারীরা কোভিড-১৯ বীমা স্কিম এবং রাজ্য সরকার যে কোভিড-১৯'এর বিভিন্ন পরিষেবার জন্য নির্দিষ্ট খরচ বেঁধে দিয়েছে, এই সম্পর্কে যতেষ্ট সচেতনতা প্রচার করা হচ্ছে না বলে দাবি করেন। অভিযোগ করেন, এই সচেতনতার অভাবে অনেক ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত চার্জ করা হচ্ছে। এছাড়া, কোভিড -১৯ ভাইরাসের কারণে মৃত বা করোনা আক্রান্তরা অনেক ক্ষেত্রেই ক্ষতিপূরণ পাননি বলেও অভিযোগ করা হয়।
রাজ্যের পক্ষ থেকে সওয়াল করা অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, রাজ্যের কোভিড-১৯ বিমা স্কিমটি ফ্রন্টলাইন কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য। মৃত্যুর হলে পরিবার পান ১০ লক্ষ টাকা, আর সংক্রামিত হলে ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। কোভিড-১৯ রোগীদের বিভিন্ন পরিষেবার জন্য সরকার মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। সাধারণ মানুষের সচেতনতার জন্য তা প্রকাশও করা হয়েছে।
ডিভিশন বেঞ্চ অবশ্য এটাই যথেষ্ট বলে মনে করছে না। প্রধান বিচারপতি (ভারপ্রাপ্ত) রাজেশ বিন্দাল এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ, রাজ্য সরকারকে কোভিড-১৯ বীমা স্কিম সম্পর্কে ফ্রন্টলাইন কর্মীদের অধিকার সংক্রান্ত একটি জনবিজ্ঞপ্তি জারির নির্দেশ দিয়েছে। কোভিড পরিষেবার নির্ধারিত মূল্য আরো বড় আকারে প্রকাশ করতে হবে, যাতে সকলে সেগুলি সম্পর্কে জানতে পারে।
আরও পড়ুন - ভারতের প্রথম মহাকাশ পর্যটক হতে চলেছেন কেরলের এই ব্যবসায়ী, খরচ করেছেন ১.৮ কোটি টাকা
আরও পড়ুন - Nirbhay Cruise Missile - সফল দেশি ইঞ্জিন, তাও মাঝপথে পড়ে গেল ডিআইডিওর ক্ষেপণাস্ত্র
এর পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে আয়োজিত কোভিড-১৯ টিকা শিবিরগুলির সম্পর্কেও ওই এলাকার মানুষকে ভালোভাবে জানাতে হবে, এতে এটি ভ্যাকসিন নিতে যাওয়া মানুষের ভিড় কমবে বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। টিকাদান শিবিরে প্রতিবন্ধীদের প্রবেশের যথাযথ সুযোগও রাখতে হবে। মানসিক কেন্দ্রের বা বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের হোমগুলিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছে আদালত। সেইসঙ্গে আদালত রাজ্যের জন্য প্রতিদিন সর্বোচ্চ কত টিকাকরণ করা যাবে এবং প্রতিদিনের ভিত্তিতে কত টিকা দেওয়ার পরিকাঠামো রয়েছে, সেই তথ্য আদালতকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে।