সংক্ষিপ্ত
- করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে
- পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
- স্বাস্থ্য দফতরের তথ্যে উদ্বেগ বাড়ছে
- আক্রান্তের ক্রমতালিকায় শীর্ষ কলকাতা
১০ হাজারের গণ্ডি আগেই পেরিয়েছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত করোনাভাইরাস সংক্রান্ত তথ্যে রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্য ১২ হাজার ছুঁই ছুঁই। মৃত্যুর সংখ্যা ৫০এর ওপর। যা রীতিমত চোখে আঙুল তুলে দেখিয়ে দিচ্ছে রাজ্যের করোনার ভয়াবহ ছবিটা। কিন্তু এখনও এই রাজ্যের মানুষ সচেতন নন। এখনও অনেককেই মাস্কের ব্যবহার করতে দেখা যায় না বলেও অভিযোগ উঠেছে।
জনসভা বাতিল হলেও প্রচার বাতিল নয়, শুক্রবারও রাজ্যে ভোট প্রচার করবেন নরেন্দ্র মোদী ..
এক নজরে রাজ্যের করোনা চিত্রঃ
দৈনিক সংক্রমণঃ ১১,৯৪৮
দৈনিক মৃত্যুঃ ৫৬
মোট আক্রান্তঃ ৭,০০,৯০৪
মোট মৃত্যুঃ ১০,৭৬৬
অ্যাক্টিভ কেসঃ ৬৮,৭৯৮
২৪ এপ্রিল থেকে করোনা টিকার জন্য নাম নথিভুক্ত করতে হবে, জেনে নিন কীভাবে নাম লেখাবেন
রাজ্যে আক্রান্ত জেলার ক্রমতালিকায় শীর্ষ স্থানে রয়েছে কলকাতা। আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৬৪৬। ২ হাজার ৩৭২ জন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা হাওড়া হুগলি ও পশ্চিম বর্ধমানে আক্রান্তের সংখ্যা রীতিমত উদ্বেগজনক বলেও জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও রাজ্যের ভোটমুখী জেলা গুলিতে নির্বাচনী প্রচারে খামতি নিয়ে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে নথিভুক্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষের সংখ্যা ২৫ লক্ষেরও বেশি। এই সময় হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন মাত্র ১০ হাজার মানুষ।
করোনাবিধি না মানলে শাস্তির খাঁড়া নেমে আসবে, মহামারি নিয়ে কঠোর নির্বাচন কমিশন ...
শুধু রাজ্য নয় গোটা দেশেই করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গের ছবিটা রীতিমত উদ্বেগ জনক। উত্তর প্রদেশ, দিল্লি, মহারাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। সার সার দিয়ে পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। হাসপাতাগুলিতে আকাল দেখা দিয়েছে অক্সিজেনের। আকাল দেখা দিয়েছে শয্যার। গত এক বছরেও বেশি সময় ধরে ভারত করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এই প্রথম দেশের করোনা পরিস্থিতি এতটা ভয়ঙ্কর হয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন এখনই উদ্বেগের কিছু নেই। সচেতন হলেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে।