সংক্ষিপ্ত

  • লকডাউনের জেরে বন্ধ স্কুল
  • প্রযুক্তির মাধ্যমে চলবে পঠন-পাঠন
  • ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর
  • পড়ুয়াদের করতে হবে হোমটাস্কও

করোনা সতর্কতায় লকডাউন চলছে রাজ্যে। বন্ধ রয়েছে স্কুল, ঘরবন্দি হয়ে দিন কাটছে পড়ুয়াদের। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন চালু রাখার জন্য অভিনব পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার। দূরদর্শনে পড়ুয়াদের ক্লাস নেবেন শিক্ষকরা। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘোষণা, ৭ থেকে ১৩ এপ্রিল বিকেল চারটে থেকে পাঁচটা পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে ক্লাস চলবে দূরদর্শনে। শুধু তাই নয়, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের হোম টাস্কও দেওয়া হবে বাংলার শিক্ষা পোর্টালের মাধ্যমে। 

আরও পড়ুন: লকডাউনে মন ভরে চা, সঙ্গে অসহায় ৫০০ জনকে খাবারও খাওয়ালেন শহরের দোকানি

করোনা সতর্কতায় এখন স্কুলে যাওয়ার উপায় নেই। আগামী শিক্ষাবর্ষে আবার প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত পড়ুয়াকে পাস করিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। তাহলে বছরভর আর ছাত্রছাত্রীরা কেন পড়াশোনা করবে? প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে প্রযুক্তির সাহায্যে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন চালু রাখার কথা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের ‘বাংলার শিক্ষা’পোর্টালে ই-মেল করে, হোয়াটস অ্যাপে বা ফোন করে ভারচুয়াল ক্লাসে প্রশ্ন করতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৮০০১০৩৭০৩৩ নম্বরটি এডুকেশন হেল্পলাইন হিসাবে চালু থাকবে।  বাংলার শিক্ষা পোর্টালে বিষয়ভিত্তিক হোমটাস্ক দেওয়া হবে। বাড়িতে বসে সেই হোমটাস্ক করতে হবে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের। স্কুল যখন খুলবে, তখন শিক্ষকদের তা দেখাতে হবে।  বস্তুত, রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রযুক্তির সাহায্যে ক্লাস চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: গায়ে লাঠি বেঁধে বহরমপুরের প্রৌঢ়র সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং পালন, ভাইরাল হল ভিডিও

আরও পড়ুন: জ্বর ও সর্দির উপসর্গ, বারাসতে করোনা আতঙ্কে আত্মঘাতী বৃদ্ধ

আরও পড়ুন: নজিরবিহীন, পয়লা বৈশাখে এবার আর লেখকে-পাঠকে দেখা হবে না বই পাড়ায়, বেরোবে না নতুন বই

উল্লেখ্য, গোটা দেশজুড়েই এখন দাপটে দেখাচ্ছে নোভাল করোনা ভাইরাস। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এরাজ্যে স্কুল,কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাঝপথে স্থগিত হয়ে গিয়েছে  উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাও।