সংক্ষিপ্ত
নির্দেশিকায় প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, করোনার বাড়বাড়নের কথা মাথায় রেখে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সব আদালতে শুনানি হবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে। আদালতকক্ষে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না।
রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ (Corona Cases)। তার মধ্যে সবথেকে বেশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কলকাতায় (Corona) করোনার গ্রাফ। রাজ্যের মধ্যে সেখানেই আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। আর এই পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High Court) সহ রাজ্যের অন্য আদালতে এবার শুনানি হবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে (Virtual Medium)। এখন আপাতত ভার্চুয়াল মাধ্যমেই সব মামলার শুনানি (Hearing) হবে। শনিবার এক নির্দেশিকা জারি করে এজলাসে শুনানি নিষিদ্ধ করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। সোমবার থেকেই এই নির্দেশিকা লাগু হবে বলে জানা গিয়েছে।
নির্দেশিকায় প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, করোনার বাড়বাড়ন্তের কথা মাথায় রেখে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সব আদালতে শুনানি হবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে। আদালতকক্ষে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। শুধুমাত্র জামিনের (Bail) মামলার শুনানিতে নথি জমা দিতে সরকারি আইনজীবী আদালতে হাজির থাকতে পারবেন। যতদিন না পর্যন্ত পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে ততদিন এই নিয়ম জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন- রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ, সোমবার থেকে কড়া বিধিনিষেধ জারির সম্ভাবনা
রাজ্যে প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। শুক্রবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যে একদিনে নতুন করে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে শুধুমাত্র কলকাতাতেই আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৯৫৪। বড়দিন ও বর্ষবরণের পর সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। সেই সঙ্গেই আবার চোখ রাঙাচ্ছে করোনার নতুন রূপ ওমিক্রন। এই পরিস্থিতিতে আর সাত দিনের মধ্যেই রাজ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারপরই এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে যাবতীয় শুনানি ভার্চুয়াল মাধ্যমে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে হাইকোর্টের তরফে। নিম্ন আদালতগুলির ক্ষেত্রেও এই নির্দেশ প্রযোজ্য।
এই মুহূর্তে আদালতগুলিতে শীতের ছুটি চলছে। ৩ জানুয়ারি থেকে আদালত খুলবে। আর সেই দিন থেকেই এই নিয়ম জারি হবে। পাশাপাশি আদালতের কর্মীদের কাজ করার ক্ষেত্রেও জারি হয়েছে বিধিনিষেধ। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, আদালতে ৬৬ শতাংশ কর্মী কাজ করবেন। এই নির্দেশিকাও রাজ্যের সব কোর্টের ক্ষেত্রেই কার্যকর হবে। এছাড়া মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্বিধি বজায় রাখার উপরও জোর দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন- করোনা আক্রান্ত মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ভর্তি হাসপাতালে
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে বন্ধ রাখা হয়েছিল আদালত। তারপর পরিস্থিতি একটু উন্নতি হওয়ায় পরই আদালতের কাজকর্ম শুরু হয়েছিল। পুরোপুরি স্বাভাবিক না হলেও, সশরীরে উপস্থিতি এবং ভার্চুয়াল শুনানি, দুইয়ে মিলিয়েই কাজ চলছিল। কিন্তু, রাজ্যে করোনার দাপট ফের বেড়ে যাওয়ায় আবার ভার্চুয়াল মাধ্যমেই শুনানি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।