সংক্ষিপ্ত
কোন কোন এলাকায় ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোর কিশোরীরা রয়েছে, সেই রকম এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে শিবির করে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করছে পুর কর্তৃপক্ষ। সোমবার হাওড়া পুরসভা স্বাস্থ্য দফতর ও পুর আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করে এই ধরনের কিশোর-কিশোরীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এবার ফুটপাতে থাকা (Pavement dwellers) ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের (15 to 18 year olds) চিহ্নিত করে ভ্যাকসিন (Vaccination) দেবে হাওড়া পুরসভা (Howrah municipality)। পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যারা ফুটপাতে থাকে, চা ও মিষ্টির দোকানে কাজ করে কিংবা কোনও কারখানায় কাজ করে, এমন ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের চিহ্নিত করে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
কোন কোন এলাকায় ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোর কিশোরীরা রয়েছে, সেই রকম এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে শিবির করে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করছে পুর কর্তৃপক্ষ। সোমবার হাওড়া পুরসভা স্বাস্থ্য দফতর ও পুর আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করে এই ধরনের কিশোর-কিশোরীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বেই হাওড়া শহরের স্কুল ও পুরসভার প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ফুটপাতে থাকা বা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করা কিশোর কিশোরীরা এই পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলেই এবার এদের এই পরিষেবা দেওয়ার জন্য আলাদা করে শিবির করার সিদ্ধান্ত নিল পুরসভা।
এদিন বৈঠকের পর হাওড়া পুর সভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানান এই ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি আলাদা দল তৈরি করা হচ্ছে। তাঁরা হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকার মতো বিভিন্ন জায়গায় যেখানে রাস্তায় থাকেন কিশোর কিশোরীরা সেরকম এলাকা চিহ্নিত করবেন। এই এলাকা চিহ্নিত করার পর সেখানে শিবির করে কিংবা মোবাইল ভ্যান নিয়ে গিয়ে পুরসভার স্বাস্থ্য কর্মীরা ভ্যাকসিন দেবেন।
১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের বয়সের প্রমাণপত্র পাওয়া না গেলেও অসুবিধা হবেনা। এদের সম্পর্কে তথ্য ও ভ্যাকসিনের পর এদের হাতে শংসাপত্র দেওয়ার জন্য নথি তৈরি সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ হাওড়া পুরসভার আধিকারিকরাই করবেন বলে এদিন জানান সুজয়বাবু। তবে কবে থেকে এদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজটা শুরু হবে তা চূড়ান্ত হয়নি বলেই জানালেন মুখ্য প্রশাসক। খুব শীঘ্রই এই কাজ হবে বলে এদিন জানানো হয়।
রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে দৈনিক কোভিড সংক্রমণ আগের থেকে অনেকটাই কমেছে। রাজ্যে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৯৮০ জন। যার মধ্যে শুধু কলকাতাতেই একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭৩ জন। কলকাতার পাশাপাশি একই হারে দৈনিক সংক্রমণ কমেছে হাওড়া, হুগলি, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণায়। যদিও দৈনিক সংক্রমণের ভিত্তিতে কলকাতার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগণা।
একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের নিচে নেমেছে এই জেলাতেও। উত্তর ২৪ পরগণায় গত চব্বিশ ঘন্টায় আক্রান্ত কমে হয়েছে ৯৬০ জন। যা গত কয়েক দিনের তুলনায় অনেকটাই কম। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, হাওড়াতে এই মুহূর্তে আক্রান্ত কমে ২২১ জন এবং হুগলিতে ২৩৫ জন এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণাতে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮৪ জন।