সংক্ষিপ্ত
রাজ্যে ক্রমেই বাড়ছে চিকিৎসাধীন রোগীর চাপ
এই অবস্থায় সম্ভব হলে বাড়িতেই নিভৃতবাসে থাকার সুপারিশ করা হচ্ছে
তবে সবসময় নিতে হবে ডাক্তারদের পরামর্শ
জেনে নিন উত্তরবঙ্গের ডাক্তারবাবুদের ফোন নম্বর
ক্রমেই রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে উঠছে। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনার অবস্থা তো ভয়াবহ।চাপপ বাড়ছে রাজ্য়ের অন্য়ান্য জেলাগুলিতেও। বিশেষ করে, এইরকম সংক্রামক রোগের মহামারির মধ্যে ভোট প্রক্রিয়া ঢুকে পড়ে অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। এই মুহূর্তে রাজ্য়ের চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৬৮,৭৯৮ জন। রাজ্যের সবকটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে এই মুহূর্তের গুরুতর কোভিড রোগীদের জন্য নির্ধারিত আইসিইউ বা এইচডিইউ শয্যা মেরেকেটে আর কয়েকশো পড়ে আছে। এই অবস্থায় জেলায় জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইন এবং সেফ হোম ব্যবস্থার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে কোভিডের প্রথম তরঙ্গের সময়ই সুপারিশ করা হয়েছিল, যাঁরা উপসর্গ বিহীন বা যাঁদের সংক্রমণের মাত্রা গুরুতর নয়, সেইসব কোভিড রোগীদের বাড়িতেই কিংবা সেফ হোমে রাখার। হাসপাতালে কোনও কোভিড রোগীকে যেভাবে ২৪ ঘন্টা নজরে রাখা যায়, বাড়িতে তা সম্ভব নয়। তার উপর কোভিড রোগীদের অবস্থা খুব দ্রুত বদলায়। সকালেও যাঁর অবস্থা স্থিতিশীল, বিকালেই হয়তো তাঁর প্রাণ সংশয় হল। তাই বাাড়িতে থাকলেও কোভিড রোগীদের নিয়মিত চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়াটা প্রয়োজনীয়। কোভিডের প্রথম তরঙ্গের সময় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে, করোনা রোগী বা তাঁর পরিজন বর্গ যাতে টেলিফোনে বা ভিডিও কলে ডাক্তারদের পরমর্শ নিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করেছিল।
দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় আবার সেই ব্যবস্থা চালু করল সরকার। ২২ এপ্রিল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গের কোভিড রোগীদের জন্য ৯ জন চিকিৎসকের ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। শুধু নিশ্চিত কোভিড রোগীরাই নন, কোভিড সন্দেহ করা হচ্ছে এমন ব্যক্তিরাও এই ডাক্তারদের ফোন করে পরামর্শ নিতে পারবেন। পরের বিজ্ঞপ্তি না আসা পর্যন্ত এই ব্যবস্থা চালু থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এই চিকিৎসকরা প্রত্যেকেই উত্তরবঙ্গ মেডিকাল কলেজ ও হাসপাতালের ডাক্তার।