সংক্ষিপ্ত

করোনা সংক্রমণ এড়াতে বন্ধ গঙ্গাস্নান

খেতে বারণ করা হল গঙ্গার জলও

পাশের রাজ্য থেকে ভেসে আসছে মৃতদেহ

মালদার মানিকচকে প্রচার চালালেন পঞ্চায়েত প্রধান

করোনা সংক্রমণ এড়াতে গঙ্গা থেকে দূরে থাকুন। মালদার মানিকচকে শুক্রবার থেকে মাইকে করে করে এমনই প্রচার চালালেন হীরানন্দপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান কাজল মণ্ডল। শুক্রবার দুপুর থেকেই সাইকেলের পিছনে মাইক বসিয়ে, হীরানন্দপুর পঞ্চায়েত এলাকার বান্নুটোলা, গোবর্ধনটোলার মতো বিভিন্ন গ্রামমে গ্রামে ঘুরে গ্রামবাসীদের গঙ্গার জল পান করতে এবং গঙ্গায় স্নান করতে নিষেধ করা হচ্ছে। নদীপথে ভিনরাজ্যের করোনা রোগীর মৃতদেহ ভেসে আসতে পারে, এই আশঙ্কাতেই এই প্রচার।

গত কয়েকদিন ধরেই গঙ্গায় ভিন রাজ্য থেকে দেহ ভেসে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছে রাজ্য প্রশাসন। তাকেই আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান। প্রচারে বলা হচ্ছে গঙ্গা দিয়ে অনেকগুলি মৃতদেহ ভেসে আসছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি করোনা রোগীদের মৃতদেহ হতে পারে। এই কারণেই গঙ্গা থেকে কয়েকটা দিন দূরেই থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে এই মহামারিকালে শারীরিক দূরত্ব এবং মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

বস্তুত গত কয়েকদিনে, প্রতিবেশী রাজ্য বিহার এবং উত্তরপ্রদেশে গঙ্গার জলে বহু মৃতদেহ ভাসতে দেখা গিয়েছে। কোনওটি অর্ধদগ্ধ, কোনওটি পোড়ানোই হয়নি। সেখান থেকে মৃতদেহ নদীপথে বাংলাতেও ভেসে আসতে পারে বলে আশঙ্কায় রয়েছে রাজ্য প্রশাসন। তবে ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা কেন, কোনও ভাইরাসই মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা পরই আর মানবদেহে সক্রিয় থাকে না। তবে, মৃতদেহ থেকে অন্যান্য সংক্রমণ ও ব্যধী ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। নদীর জলে মৃতদেহ ভাসিয়ে দেওয়াটা চূড়ান্ত অস্বাস্থকর। সেই জলে স্নান করলে বা সেই জল খেলে, বিপদ হতে পারে।

বিভিন্ন জেলা প্রশাসনগুলি অবশ্য কোনও ঝুঁকি নিচ্ছে না। মৃতদেহ ভেসে আসার আশঙ্কায় গঙ্গা তীরবর্তী এলাকাগুলিতে সমানে নজরদারি চলছে। তবে গঙ্গায় এখন যে পরিমাণ পলি পড়েছে, তাতে আদৌ দেহ বেসে আসার মতো স্রোতের টান থাকবে কিনা, তাই নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।