সংক্ষিপ্ত

  • করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ায় বৃদ্ধা মা বাড়িতে একা
  • বৃদ্ধা বাবা মাকে বাড়িতে ফেলে পালাল ছেলে
  • পালালেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা
  • চরম অমানবিক ঘটনার সাক্ষী মালদার মানিকচকের কামালপুর 

দেশ জুড়ে করোনা আক্রান্তদের মর্মান্তিক ছবি সামনে আসছে। রাজ্যও ব্যতিক্রম নয়। মালদহ থেকে যে ছবি সামনে এল তা চোখে জল আনে। করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ায় বৃদ্ধা মাকে বাড়িতে ফেলে পালালো ছেলে ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। চরম অমানবিক ঘটনার সাক্ষী থাকলো মালদার মানিকচকের কামালপুর গ্রাম।

বৃদ্ধা মা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তাকে বাড়িতে ফেলে পালিয়ে গেল ছেলে ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। বাড়িতে পড়েছিলেন ওই বৃদ্ধা ও তাঁর স্বামী। গত সোমবার বৃদ্ধার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা পরিবারে। 

এরপরেই বৃদ্ধা মাকে ফেলে পরিবারের সদস্যরা চম্পট দেয়। যোগাযোগ রাখেননি কোনও প্রতিবেশিও। বৃহস্পতিবার রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় ওই বৃদ্ধার। পরে স্বাস্থ্য দপ্তর খবর পেয়ে বৃদ্ধাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স পাঠায়। কিন্তু প্রতিবেশীরা কেউ সেই অ্যাম্বুলেন্সে বৃদ্ধাকে তোলার জন্য এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত মানিকচক ব্লকের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেন। তাকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে, টানা ১৫ দিন ধরে ভারতে দৈনিক করোনা সংক্রমণ ৩ লক্ষের উপরে আছে। গত দু দিন ধরে আবার সংক্রমণ ৪ লক্ষ ছাড়িয়েছে। এবার সংক্রমণ তুঙ্গে কবে উঠবে তা নিয়ে চলছে জল্পনা। বিশেষজ্ঞরা আগে বলে ছিলেন, মে মাসের মাঝামাঝি সংক্রমণ তুঙ্গে উঠতে পারে। গত মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনে যে অঙ্কের হিসেব তুলে সংক্রমণ তুঙ্গে যাওয়ার কথা বলেছিলেন বিশেষজ্ঞরা সেটা মেলেনি। 

তবে আগামী কয়েকদিন যে দেশের কাছে কঠিন হতে চলেছে তা সবাই বলছেন। কেন্দ্র দেশজুড়ে লকডাউনের পথে না যাওয়ায় সংক্রমণের রাশ কতটা টানা যাবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। হায়দরাবাদে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির অধ্যাপক মাথুকুমাল্লি বিদ্যাসাগর জানিয়েছেন, "আমাদের হিসেব হল আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দেশে সংক্রমণ তুঙ্গে উঠবে। তবে যেভাবে চলছে তাতে জুনের শেষে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কুড়ি হাজারের নেমে যাবে।

গত কয়েক দিন ধরেই দিল্লি, মহারাষ্ট্র এবং পাঞ্জাব, বাংলা-সহ কয়েকটি রাজ্যে করোনার আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বৃ্দ্ধি পাচ্ছে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার পরে এখন আশঙ্কা করা হচ্ছে যে ভারতে করোনার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা আগামী দিনে দ্বিগুণ হতে পারে।