সংক্ষিপ্ত
ওমিক্রন শেষ হওয়ার পর বিশ্বে করোনার আরও ভয়াবহ কোনও প্রজাতি থাবা বসাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে হু। তাদের মতে, আগামীদিনে আরও বিপজ্জনক কোনও প্রজাতি আসতেই পারে।
নতুন করে গোটা বিশ্বের কাছেই ত্রাস হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা (Corona)। আর তার সঙ্গেই রয়েছে দোসর হয়েছে নতুন রূপ ওমিক্রন। কিন্তু, ওমিক্রন (Omicron) তেমন একটা ভয়ঙ্কর নয়। কারণ এর প্রভাবে মৃত্যু (Death) কিংবা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা খুবই কম ঘটছে। তা সত্ত্বেও যেন নিশ্চিত হওয়ার কোনও জো নেই। কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organisation) তরফে মনে করা হচ্ছে যে একটা না একটা সময় ওমিক্রনের দাপট থেমে যাবে। কিন্তু, তারপর কী হবে? সেই পরিস্থিতি নিয়েই এখন সবথেকে বেশি উদ্বিগ্ন হু। কারণ তাদের মতে, ওমিক্রন যেভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতে শুরু করেছে তার ফলে ফের কোনও করোনা প্রজাতির দেখা মিলতেই পারে। আর সেই প্রজাতি অনেক বেশি ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।
গোটা বিশ্বেই হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন। প্রথমে এটির হদিশ পাওয়া গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। কিন্তু, মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই থাবা বসায়। বাদ যায়নি ভারতও। এই মুহূর্তে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। মাত্র ৪ দিনে দৈনিক সংক্রমণ ৬ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষে পৌঁছেছে আমেরিকায়। একদিনে এতজনের আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে যা রেকর্ড। কেবল আমেরিকা নয়, ইউরোপের দেশগুলিতেও ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। বিশ্বে করোনা থাবা বসিয়েছে প্রায় ২ বছর আগে। কিন্তু, এত অল্প সময়ের মধ্যে এক বিপুল পরিমাণ মানুষের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা আগে দেখা যায়নি।
তাই ওমিক্রন শেষ হওয়ার পর বিশ্বে করোনার আরও ভয়াবহ কোনও প্রজাতি থাবা বসাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে হু। তাদের মতে, আগামীদিনে আরও বিপজ্জনক কোনও প্রজাতি আসতেই পারে। ওমিক্রন যত বেশি ছড়ায়, তত বেশি প্রতিলিপির সম্ভাবনা বাড়ে। মিউটেশন তো হবেই। ফলে নতুন ও শক্তিশালী প্রজাতি আসার সম্ভাবনা যথেষ্ট বেশি। বর্তমানে ওমিক্রনের দ্রুত সংক্রামক ক্ষমতা নিয়ে চিন্তিত সকলে। এটি ডেল্টার চেয়েও বেশি ক্ষতিকারক। ফলে পরবর্তী প্রজাতিতেও যে এই ট্রেন্ড বজায় থাকবে না, তাই নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই।
আরও পড়ুন- কোভিড সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে কলকাতা পুলিশে, আক্রান্ত CBI আধিকারিকরাও
এই আতঙ্কের মাঝেই আবার ফ্রান্সে সন্ধান মিলেছে করোনার এক নতুন প্রজাতির। সেটির নাম ইহু (IHU)। বিশেষজ্ঞদের তরফে জানানো হয়েছে, এটি ৪৬ বার মিউটেশনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে, যা ওমিক্রনের থেকেও বেশি শক্তিশালী। ফলে টিকার সুরক্ষা বলয় পেরিয়ে সংক্রমিত করার ক্ষমতা এর আরও বেশি। ইহু তথা B.1.640.2 স্ট্রেনটিতে ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন ফ্রান্সের ১২ জন নাগরিক। তাঁরা সকলেই ক্যামেরুনে বেড়াতে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।