সংক্ষিপ্ত
- করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার তিন মাস টিকা
- ন্যাশনাল এক্সপার্ট গ্রুপ নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে
- স্তন্যদানকারী মায়েদের টিকাকরণ নিয়ে টানাপোড়েন
- বিশেষজ্ঞ প্যানেল ও কেন্দ্রের মধ্যে টানাপোড়েন
করোনা থেকে সেরে ওঠার ৪৫ দিন পরে ভ্যাকসিন নেওয়া যেত। এমনই নিয়ম চালু ছিল এতদিন। কিন্তু নিয়মের বদল ঘটাল কেন্দ্র। বুধবার এক নতুন নির্দেশিকায় কেন্দ্র জানিয়েছে করোনা থেকে সেরে ওঠার তিন মাস পর টিকা নেওয়া যাবে। অর্থাৎ একবার করোনা আক্রান্ত হলে সুস্থ হতে সময় লাগছে নূন্যতম ১৪ দিন। তারপর অপেক্ষা করতে হবে আরও তিন মাস। তবেই মিলবে টিকা।
বুধবার অর্থাৎ ১৯শে মে ভ্যাকসিনেশনের ওপর তৈরি করা ন্যাশনাল এক্সপার্ট গ্রুপ এই নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকও এই নির্দেশিকায় সম্মতি প্রকাশ করেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানাচ্ছে প্রথম ডোজ নেওয়ার পর করোনা আক্রান্ত হলে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্যও তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে। তবে যাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়ে আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন, বা শারীরিক পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়েছিল, তাঁদের ক্ষেত্রে সেই সময়সীমা কমে চার থেকে আট সপ্তাহ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে ভ্যাকসিনেশনের আগে রাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট বা স্ক্রিনিংয়ের প্রয়োজন নেই। জানানো হয়েছে যে সব মায়েরা সন্তানদের স্তন্যদান করেন, সেই সব মায়েরাও ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। তবে এই বিষয়ে কেন্দ্র দ্বিমত প্রকাশ করেছে। কেন্দ্রের দাবি স্তন্যদান কারী মায়েদের ভ্যাকসিনেশনের বিষয়টি এখনও আলোচনা সাপেক্ষ।
এদিকে, বৃহস্পতিবার ভ্যাকসিন ইস্যু, অক্সিজেন ইস্যু, করোনার ওষুধ ইস্যু নিয়ে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কখনওই কোনও বৈঠক হয়নি। মোদীর বিরুদ্ধে বৈঠকে না থাকার অভিযোগ করেছেন মমতা। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির জন্য যা রীতিমত উদ্বেগ জনক। এবার ভোটের ফলপ্রকাশের পর প্রথমবার মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় ৯ টি জেলার কোভিড পরিস্থিতি এবং সরকারি ব্যবস্থাপনা নিয়ে এই ভার্চুয়াল বৈঠক হবে।