সংক্ষিপ্ত
ব্রিটেন প্রশাসন জানিয়েছে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ৮৮,৩৭৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। যা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে রেকর্ড করা সর্বাধিক দৈনিক সংক্রমণও।
করোনাভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ ক্রমশই বাড়ছে ব্রিটেনে(Britain)। বৃহস্পতিবার নতুন করেন আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়েছে ৮৮ হাজারে। ব্রিটেন প্রশাসন জানিয়েছেন এদিন ৮৮ হাডার ৩৭৬ জন নতুন করে কোভিড-১৯ (Covid-19) আক্রান্ত হয়েছে। যা আগের দিনের তুলনায় ১০ হাজার বেশি। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন বুধবার বৃহস্পতিবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ১৪৬ জনের।
ব্রিটেন প্রশাসন জানিয়েছে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ৮৮,৩৭৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। যা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে রেকর্ড করা সর্বাধিক দৈনিক সংক্রমণও। এর আগে ব্রিটেনে এক দিনে এতজন মানুষ একসঙ্গে আক্রান্ত হয়নি বলেও দাবি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার বেড়েছে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।
বিট্রেনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের দাবি সেদেশে দ্রুতগতিতে বাড়ছে ওমিক্রন সংক্রমণ। গত ২-৩ দিনে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হারে বেড়েছে বলেও জানিয়েছেন স্বস্থ্য কর্তারা। ওমিক্রানের কারণে সংক্রমণ বাড়ছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি বলেছে যে দেশে আরও ১,৬৯১ জন ওমিক্রন আক্রান্তকে শনাক্ত করা গিয়েছে। বর্তমানে সেই দেশে শুধুমাত্র ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাই ১১ হাজার ৭০৮। যদিও বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়েছেন আসল সংখ্যাটি অনেক বেশি। কারণ ওমিক্রন উপসর্গবিহন। তাই অনেকেই জানতেও পারেন না যে তিনি করোনাভাইরাসের নতুন রূপে আক্রান্ত হয়েছে। দ্রুতগতিতে সংক্রমণ ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
ইংল্যান্ডের চিফ মেডিক্যাল অফিসার বলেছেন, এই শীতে কোভিড-১৯ থেকে প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা আগের রেকর্ডকে ছাপিয়ে যেতে পারে। যদিও তিনি ওমিক্রন নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন। বলেছেন, করোনার এই নতুন রূপটি নিয়ে এখনও পর্যন্ত বিরাট অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। শুধু ব্রিটেন নয় ওমিক্রন বর্তমানে গেটা বিশ্বের কাছেই আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনার নতুন রূপ দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। বিশ্বের সবকটি দেশেই কমবেশি নতুন করে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা।
নতুন কোভিড (Covid 19) ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন (Omicron)-এর চিত্র এখনও স্পষ্ট নয়। আক্রান্তদের পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। নমুনাগুলি বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ভারতের এক বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা করোনার নতুন রূপের প্রভাব সম্পর্কে সম্ভাব্য মাত্রা নির্ধারণ করেছেন। ভারতের এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসের নতুন রূপের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায় কর্ণাটকে সোমবার ৬৩ বছেরে এক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যার দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa) ভ্রমণের পূর্ব ইতিহাস রয়েছে। তাই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের কথায় করোনার নতুন রূপ ওমিক্রনের সঙ্গে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের মিল খুবই কম। বিশেষজ্ঞরা ওমিক্রন সম্পর্কে তিনটি তথ্য পেয়েছেন যা থেকে এই রূপের চিত্র অনুমান করছেন তাঁরা।
দ্রুত সংক্রমণ ছড়ায়
ইমিউনোলজিস্ট সত্যজিত রথ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন যে করোনার এই রূপটি দ্রুত সংক্রমিত করতে পারে। পাবলিক পলিসি বিশেষজ্ঞ চন্দ্রকান্ত লাহারিয়া বলেছেন ওমিক্রনের প্রায় ৫০টি মিউটেশন রয়েছে। যা সম্ভাব্যরূপটিকে দ্রুত সংক্রমণ যোগ্য করে তোলে। ৫০টি মিউটেশনের মধ্যে ৩২টি স্পাইক প্রোটিন রয়েছে যা মানুষের কোষে প্রবেশ করতে পারে।