সংক্ষিপ্ত

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে বর্তমানে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৪ কোটির বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে মাত্র ১ জনের।

নতুন করে বাড়ছে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী মঙ্গলবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ২৪৭। যদিও আক্রান্তের সংখ্যা সোমবারের তুলনা ৪৩ শতাংশ কমেছে। কারণ সোমবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ১৮৩। যা রবিবারের আক্রান্তের তুলনায় দ্বিগুণ।  করোনাভাইরাসের এই সংক্রমণ নতুন করে আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে চিকিৎসকদের মধ্যে। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে বর্তমানে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৪ কোটির বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে মাত্র ১ জনের। ২৪ ঘণ্টায় দেশে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩১৮। সুস্থ হয়েছে ৯২৮ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যা ৪ কোটিরও বেশি। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী আক্রান্ত রাজ্যগুলির ক্রমতালিকায় এখনও পর্যন্ত শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় এই রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছ ৫৯ জন। দ্বিতীয় স্থানে কেরল। যদিও ২৪ ঘণ্টায় কোনও মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়নি। তৃতীয় স্থানে কর্ণাটক। আর চতুর্থ স্থানে তামিলনাড়ু। গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত হয়েছে মাত্র ১৭ জন। দিল্লি ও উত্তর প্রদেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। দিল্লিতে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ৫০১ জন। উত্তর প্রদেশের আক্রান্ত হয়েছে ১১৫ জন। 

দেশে করোনা গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হওয়ার পরই দিল্লি ও উত্তর প্রদেশ মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে। গুরগাঁও, লক্ষ্ণৌ, দিল্লি এনআরসি- এই এলাকাগুলিতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার আবেদন জানান হয়েছে। অন্যদিকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসকরাও মাস্ক পরার আবেদন জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন অধিকাংশ মানুষই মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাই কোভিড সংক্রমণ যাতে প্রাথমিক পর্যায়েই রুখে দেওয়া যায় সেই জন্য নতুন করে দেশের মানুষের কাছে মাস্ক পরার আর্জি জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। 

চিকিৎসকার জানিয়েছেন- বর্তমানে অনেকটাই শক্তি হারিয়ে ফেলেছে কোভিড-১৯এর জীবাণু। কোভিডের নতুন বংশধর XE ভেরিয়েন্ট এখনও পর্যন্ত তেমন ক্ষতিকারক নয়। আর সেই কারণেই অনেকেই করোনাভাইরাস নিয়ে গাফিলতি শুরু করেছেন। উপসর্গ দেখতে পাওয়া গেলেও কোভিড পরীক্ষা করাতে গাফিলতি করছেন। এখন অনেক ক্ষেত্রে কোভিড উপসর্গবিহীন হয়ে গেছে। সেই কারণে নতুন করে এটি দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে পারছে। তাই এখন থেকেই সাবধান হওয়া জরুরি। তা যদি না হয় তাহলে করোনার জীবাণু নতুন করে বিপদ ডেকে আনতে পারে। 

জল্পনা উস্কে দিয়ে আবারও সনিয়ার কাছে প্রশান্ত কিশোর, তিন দিনে দুবার কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠক

ভগবান গণেশের মূর্তি ভুলেও ঘরের মধ্য়ে এমনভাবে রাখবেন না, সিদ্ধাদাতার ছবি নিয়েও সতর্ক হন
রাশিয়ার নতুন টার্গেট রুশ অধ্যুষিত ডনবাস, প্রায় নিশ্চিহ্ন বন্দর শহর মারিউপোল