সংক্ষিপ্ত

করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি ৮১ শতাংশ কমিয়ে দিচ্ছে করোনা ভ্যাকসিন। ৪৫ বছর বয়েস থেকে বেশি বয়স্ক রোগী যাঁরা, তাঁদের মধ্যে ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় থাকছে না বললেই চলে।

করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি ৮১ শতাংশ কমিয়ে দিচ্ছে করোনা ভ্যাকসিন। ৪৫ বছর বয়েস থেকে বেশি বয়স্ক রোগী যাঁরা, তাঁদের মধ্যে ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় থাকছে না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, আইসিইউতে ভর্তির সম্ভাবনাও কমছে ৬৬ শতাংশ। একটি বেসরকারি বিমা সংস্থার করা সমীক্ষা এই তথ্য প্রকাশ করেছে। 

এই সমীক্ষা জানাচ্ছে দেশে গড়ে হাসপাতাল সংক্রান্ত খরচ কমেছে ২৪ শতাংশ। হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময়সীমাও কমেছে গড়ে। ৭ দিন থেকে ২.১ দিন কমে তা দাঁড়িয়েছে ৪.৯ দিন। বেসরকারি বিমা সংস্থার যুগ্ম সহ সভাপতি মধুমতি রামকৃষ্ণাণ জানাচ্ছেন ভ্যাকসিনেশনের উদ্দেশ্য সফল বলেই মনে করা হচ্ছে। করোনা চিকিৎসায় খরচ ক্রমশ কমছে। যা দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার বড় সাফল্য।

ভ্যাকসিন না নেওয়া রোগীদের ক্ষেত্রে যেখানে গড়ে হাসপাতালে খরচ হচ্ছে ২.৭৭ লক্ষ, সেখানে ভ্যাকসিন নেওয়া রোগীদের ক্ষেত্রে খরচ হচ্ছে ২.১ লক্ষ।আইসিইউ-র খরচও উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে বলে জানাচ্ছে সমীক্ষা। 

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী  টিকাকরণের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, টিকা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির তীব্র সমালোচনা হয়েছে। রাজ্যগুলিও ডোজের অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে। কিন্তু বর্তমানে টিকা দেওয়ার ওপরেই রাজ্যগুলিকে মনোনিবেশ করতে বলেন তিনি।

পাহাড়ে পর্যটকদের আর বাজারগুলিতে সাধারণ মানুষদের ভিড় নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনাভাইরাসের তৃতীয় তরঙ্গ রুখে দেওয়ার জন্য করোনাভাইরাস সংক্রান্ত প্রোটোকল অনুসরণ করা জরুরি বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে উত্তর পূর্বাঞ্চলের আট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি ফেসমাস্ক না পরা আর নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।