সংক্ষিপ্ত

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা নিন্মমুখী। দু বছর পরে ১ হাজারের নিচে নেমে গেছে কোভিড গ্রাফ।

আমেরিকা আর চিনে যখন করোনভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে তখন আশার আলো দেখছে ভারত। কারণ এই দেশে গত এপ্রিলের এই দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০০ এর নিচে নেমে গেছে। এদিন দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৯১। দেশে ৭১৪ দিনে মধ্যে এদিন সবথেকে কম মানুষ সংক্রমিত হয়েছে। এদিন মৃত্যু হয়েছে মাত্র ১৩ জনের। দেশে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে ৪ কোটি ৩০ লক্ষ ২৯ হাজার ৪৪ জন। দেশে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১৩ হাজারের নিচে নেমে গেছে। 

সোমবার সকাল ৮টা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষের। দেশে সক্রিয় আক্রান্তের হারও নিম্নমুখী হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়ে সক্রিয় আক্রান্তের হার ০.০৩ শতাংশ। সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যা ৯৮.৭৬ শতাংশ। 

ভারতের দুবছর আগে ২০২০ সালের ১৮ এপ্রিল আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজারের নিচে। তারপর থেকে ক্রমশই উর্ধ্বগামী ছিল করোনা গ্রাফ। প্রথম ও দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় সেই গ্রাফ লক্ষের ঘর টকপে গিয়েছিলে।  দু বছর পর আক্রান্তের সংখ্যা কমায় স্বস্তি দিয়েছে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের। তবে এখনও দেশবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। বলেছেন নিরাপদ শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা জরুরি। 

মহারাষ্ট্র কোভিডি বিধিনিধিষে তুলে দিয়েছে। আগের তুলনায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ অনেকটাই শিথিল করেছে পশ্চিমবঙ্গ। তাই নতুন করে যাতে সমক্রমণ না বাড়ে তার জন্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে পরামর্শ দিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দৈনিক ইতিবাচকের হার ০.২৯ শতাংশ। সাপ্তাহিক ইতিবাচক হার ০.২২ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রিয় তিন লক্ষ মানুষ কোভিড পরীক্ষা করিয়েছেন।

দু-বছর পরে মহামারির ভয়ঙ্কর দিনের আতঙ্ক কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে বিশ্ব। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আশঙ্কা জাগাচ্ছে কোভিড-১৯ এর নতুন প্রজন্ম। যা XE নামে পরিচিত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে XE নামে করোনাভাইরাসের নতুন প্রজন্মটি ওমিক্রেনের BA.2 উপ-ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি সংক্রমণ যোগ্য। তাই আগামী দিনগুলিতে সাবধানতা অবলম্বন করারই পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনের BA.2 সাব-ভ্যারিয়েন্টকে কোভিড-১৯এর সবথেকে সংক্রামক স্ট্রেইন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু সেটিকেও হার মানিয়ে দিচ্ছে XE স্ট্রেইন। নতুন একটি গবেষণায় নিশ্চিত করা হয়েছে XE এখনও পর্যন্ত কোভিডের সবথেকে সংক্রমণযোগ্য মিউট্যান্ট। ইতিমধ্যেই ওমিক্রনের BA.2 উপ ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভার নতুন কোভিড কেসইও এই  BA.2 -র জন্য দায়ি।  সাউথ আফ্রিকা, ব্রিটেনসহ বিশ্বের একাধিক দেশে এটির প্রভাবও লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু  XE তাকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গবেষকরা।