সংক্ষিপ্ত

আক্রান্ত ব্যক্তিকে এলএনজেপি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আক্রান্ত ব্যক্তির জ্বর বা ব্যাথা নেই। 


দেশে করোনাভাইরাসের (Coronavirus) নতুর রূপ  ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। দিল্লিতে  আরও এক ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। আক্রান্ত ব্যক্তির জিম্বাবুয়ে ও দক্ষই আফ্রিকা ভ্রমণের পূর্ব ইতিহাস পয়েছে। এই নিয়ে দিল্লিতে ওমিক্রনে আক্রান্ত দুই জনের সন্ধান পাওয়া গেছে। 

আক্রান্ত ব্যক্তিকে এলএনজেপি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আক্রান্ত ব্যক্তির জ্বর বা ব্যাথা নেই। শুধুমাত্র দুর্বলতা রয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তি সদ্যোই জিম্বাবুয়ে থেকে ভারতে ফিরেছেন। তার আগে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়েছিলেন বলেও সত্রের খবর। ওমিক্রন আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে দিল্লির এলএনজেপি হাসপাতালে। এর আগে রবিবার ৩৭ বছরের এক ব্যক্তি তানজানিয়া থেকে দিল্লিতে এসেছিলেন। সেই ব্যক্তি ওমিক্রনে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি ছিলেন দিল্লির প্রথম ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তি। তবে প্রথম আক্রান্ত রাঁচির বাসিন্দা। কাতার এয়ারওয়েজের বিমানে তানজানিয়া থেকে দোহা হয়ে দিল্লি এসেছিলেন।  তবে তার এক সপ্তাহ আগে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ছিলেন। 

অন্যিদকে গতকালই মহারাষ্ট্রে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। তিন বছরের একটি শিশুসহ তিন জন আক্রান্ত হয়েছে মুম্বইতে। এই রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৭। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শনি ও রবিবার মুম্বইয়ে লকডাউন জারি করা থাকবে বলে ঘোষণা করেছে। শনিবার ও রবিবার বাণিজ্যনগরিতে জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। কোথাও জমায়েত করা যাবে না। জারি থাকবে কড়া বিধিনিষেধ। অন্যদিকে সংক্রমণে রাশ টানতে অমরাবতী, মালেগাঁওসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় কড়া বিধিনিষেধ জারি থাকবে। ১৪৪ ধারা জারি থাকার সময়কালীন, মিটিং মিছিল করা যাবে না। আইন অমান্য করলে ১৮৮ ধাকায় মামলা রুজু করা হবে। 


ওমিক্রনের সংক্রমণের ভয়ের মধ্যেই দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শনিবারদেশে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৯৯২। গতকালের তুলনায় ৬ শতাংশ কম। এখনও পর্যন্ত দেশে আক্রান্তের সংখ্যা তিন কোটিরও বেশি। পাশাপাশি এই মুহূর্তে দেশে অ্যাক্টিভকেসের সংখ্যাও অত্যান্ত কম। হত ৫৫৯ দিনে অ্যাক্টিভ কেসের পরিসংখ্যান ১ হাজর ৬৬৬। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩৯৩ জনের। করোনা সংক্রমণ কমলেও ভয় বাড়াচ্ছে ওমিক্রন সংক্রমণ। যদিও ওমিক্রন সংক্রামণ এড়াতে কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা। বিমান বন্দরে বাড়ানো হচ্ছে নজরদারিও। 

COVID Epidemic: কোভিড মহামারি শেষ হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত কী করে নেওয়া হবে

Farmer Protest End: স্থানীয়দের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ঘরের পথে কৃষকরা, শনিবারই শেষ ১৫ মাসের আন্দোলন

Chopper Crash: ৬ সেনা কর্মীর কফিনবন্দি দেহ পৌঁছে যাবে বাড়িতে, চপার দুর্ঘটনায় আহত ক্যাপ্টেনের লড়াই জারি