সংক্ষিপ্ত
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কোভিড -১৯ সংখ্যার বৃদ্ধি প্রধানত নির্ভর করছে ভারতের ওপর। উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহে দেশে করোনা সংক্রমণের হার ১৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
১৫০ শতাংশ সংক্রমণ বেড়েছে ভারতে (150 per cent increase in cases)। ফলে এই সংখ্যা প্রভাব ফেলছে গোটা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার (South-East Asia) কোভিড সংক্রমণের ওপর (Covid numbers)। এমনই দাবি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organisation) বা হু-র। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কোভিড -১৯ সংখ্যার বৃদ্ধি প্রধানত নির্ভর করছে ভারতের ওপর। উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহে দেশে করোনা সংক্রমণের হার ১৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
WHO এর মতে, ভারতে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে ১৫,৯৪,১৬০ টি নতুন কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। যা আগের সপ্তাহে ছিল ৬,৩৮,৮৭২। সোমবার সকালে প্রকাশিত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Union Health Ministry) বুলেটিন অনুযায়ী, রবিবারের তুলনায় ৮ শতাংশ কমল দৈনিক সংক্রমণ। তবে এই নিয়ে টানা পঞ্চম দিনে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ৩ লক্ষের বেশিই রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে মোট ৩.০৬ লক্ষ (৩,০৬,০৬৪) নতুন করোনা আক্রান্তকে সনাক্ত করা হয়েছে। ফলে, বর্তমানে ভারতের মোট কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা ৩.৯৫ কোটিতে পৌঁছে গেল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (USA) পর, ভারতই এখন বিশ্বের মধ্যে কোভিডে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দ্বিতীয় দেশ।
দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কমলেও, ভারতে করোনাভাইরাস মহামারির তৃতীয় তরঙ্গের প্রভাব কিন্তু কমেনি। মহামারি কী অবস্থার আছে, তা বোঝা যায় দৈনিক ইতিবাচকতার হার (Positivity Rate) দিয়ে। অর্থাৎ, করোনাভাইরাস পরীক্ষার কত শতাংশ ইতিবাচক হচ্ছে। ভারতের দৈনিক ইতিবাচকতার হার ১৭.৭৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০.৭৫ শতাংশ হয়েছে। সাপ্তাহিক ইতিবাচকতার হার রয়েছে ১৭.০৩ শতাংশে। অন্যদিকে দেশের সক্রিয় কেস, অর্থাৎ, চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে, ২২,৪৯,৩৩৫, যা মোট সংক্রমণের ৫.৬৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা মুক্ত হয়েছেন ২,৪৩,৪৯৫ জন। জাতীয় সুস্থতার হার ৯৩.০৭ শতাংশে নেমে এসেছে।
পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে, মরক্কো থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক নতুন কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। গত সপ্তাহে ৪৬১০ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে ৪৫ শতাংশ সংক্রমণ বেড়ে এই সপ্তাহে ৩১,৭০১ জন আক্রান্ত হন। লেবাননে নতুন করে এই সপ্তাহে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫,২৩১ জন। যেখানে গত সপ্তাহে সংখ্যাটা ছিল ৩৮,১১২জন। তিউনিসিয়াতে গত সপ্তাহে ৩,৯৪৮ এর বিপরীতে ১৩,৪১৬জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও বলেছে যে করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন রূপটি এখন বিশ্বের ১৭১টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। পূর্ববর্তী SARS-CoV-2 ভেরিয়েন্টগুলির তুলনায় সংক্রমণের পরে গুরুতর রোগ এবং মৃত্যুর ঝুঁকি কম হওয়া সত্ত্বেও, খুব উচ্চ স্তরের সংক্রমণের ফলে হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটেছে বলে জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে।