সংক্ষিপ্ত

কাট্টুমান ও তাঁর গবেষক দল ভারতের কোভিড ১৯ ট্র্যাকারের ওপর লক্ষ্য রাখছে। তাঁদের দাবি ভারতের কোভিড আক্রান্ত্রে হার দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।


আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই  দেশে কোভিড-১৯ (Covid-19) আক্রান্তের পরিসংখ্যন বাড়তে পারে। এটি স্বল্প স্থায়ী করোনা তরঙ্গের দিকেও যেতে পারে। কারণ অত্যান্ত মারাত্ম করোনাভাইারসের (Coronavirus) নতুন রূপ ওমিক্রনের (Omicron) মাধ্যেই এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। ১৪০ কোটির এই দেশে ওমিক্রন খুব দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পল কাট্টুমান ভারতের কোভিড পর্যালাচনা করে তেমনই দাবি করেছেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চলতি সপ্তাহের শেষেই ভারতে করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যান দ্রুত হারে বাড়়িয়ে দেবে ওমিক্রন। তবে তিনি বলেছেন দৈনিক সংক্রমণ কতটা বাড়তে পারে তা এখনই অনুমান করা সম্ভব নয়। 

কাট্টুমান ও তাঁর গবেষক দল ভারতের কোভিড ১৯ ট্র্যাকারের ওপর লক্ষ্য রাখছে। তাঁদের দাবি ভারতের কোভিড আক্রান্ত্রে হার দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাঁদের দাবি ২৪ ডিসেম্বর এই দেশের ৬ রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যাভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল।  তার মাত্র দুদিনের মধ্যে অর্থাৎ ২৬ ডিসেম্বর দেশের ১১টা রাজ্যে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করেছেন গবেষক দল। পল কাট্টুমান  আরও জানিয়েছেন নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ শতাংশেরও বেশি। 

ভারতের এখনও পর্যন্ত কোভিড আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৩৪.৮ মিলিয়ন। মৃত্যু হয়েছে ৪৮০.২৯০। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ভারত আরও একটি প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে মোকাবিলার প্রস্তুতিত নিচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫৩। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার দ্রুত বৃদ্ধি ও অসুস্থদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। পাশাপাশি দেশের টিন এজারদেরও কোভিড টিকা দেওয়ায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আগামী দিনে ১৫-১৮ বছর বয়সীরা কোভিড টিকা পাবেন। দেশের টিকার চাহিদা পুরণ করতে আরও নতুন দুটি টিকা ও একটি ওষুধকে করোনা চিকিৎসায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। 

ওমিক্রন নিয়ে সতর্কতা জারি হয়েছে রাজ্যগুলিতে। ইতিমধ্যেই দেশের জাতীয় রাজধানী দিল্লিতে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সিনেমাহল থিয়েটার, স্কুল ও কলেজ। দিল্লিতে ৫০ শতাংশ যাত্রী  নিয়ে বাস-মেট্রো চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সরকারি বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে প্রস্তুত থাকতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তা ওমিক্রনের প্রভাবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে মহারাষ্ট্রেরও বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ রপা হয়েছে। বছর শেষের উৎসবে ভিড়ে এড়াতে নাইট কার্ফু জারি করা হয়েছে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশে, তামিলনাড়ুসহ  বেশ কয়েকটি রাজ্যে। 

এপ্রিল ও মে মাসে এই দেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের জন্য দ্বিতীয় তরঙ্গ আছড়ে পড়েছিল। সেই সময় দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষে পৌঁছে গিয়েছিল। দেশের হাসপাতাল থেকে শ্মশান সর্বত্রই শোনা গিয়েছিল হাহাকার। সামনে এসেছিল অক্সিজেন , ওষুধ হাসপাতাল শয্যার বাড়ন্ত ছবিটা। কেমব্রিজ ইন্ডিয়া ট্র্যাকার সেই সময়ই স্পষ্ট করে জানিয়ে ছিল, অগাস্ট মাসেও যদি দ্রুতহারে টিকা দেওয়া না যায় তাহলে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা আবারও বাড়তে পারে। চলতি বছর অক্টোবরে ভারতে  ১১ বিলিয়ন ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। 

Mamata On Omicron: রাজ্যে জারি হতে পারে কড়া কোভিড বিধি, ইঙ্গিত দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

দ্রুত কোভিড-১৯ টিকা দিতে হবে, ভোটমুখী রাজ্য নিয়ে কেন্দ্রকে সতর্ক করল নির্বাচন কমিশন

Roundup 2021: অক্সিজেন সংকট থেকে কালোবাজারি, কোভিড-১৯-র দ্বিতীয় তরঙ্গে সাক্ষী থেকেছে ভারত