সংক্ষিপ্ত

  •  রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে নয়া উদ্যোগ
  • কলকাতা সহ জেলায় মিনি কনটেনমেন্ট জোন
  • চিহ্নিত করা হয়েছে রাজারহাট এলাকা
  • ১৭ দিনের জন্য ঘিরে ফেলা হয়েছে এলাকা

নবান্নের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ শুরু করল কলকাতা পুলিশ। কলকাতায় শুরু হল মিনি কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করার কাজ। বৃহস্পতিবার রাতে রাজারহাট ভাতেন্ডা এলাকায় করা হলো মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন। উপস্থিত ছিলেন রাজারহাট ভিডিও, বিধান নগর ডিসি বিশপ সরকার(রাজারহাট নিউটাউন জোন), এসিপি সহ রাজারহাট থানার পুলিশ। 

রাজারহাট থানা এলাকায় ভাতেন্ডাতে করা হলো মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই এলাকায় বসবাসকারী মানুষজন অকারণে বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন না। কোনও প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বেরোলে মুখে মাক্স পরে বেরোতে হবে। যে পরিবারের সদস্য করোনায় আক্রান্ত তারা কোনভাবেই বাড়ির বাইরে বেরোতে পারবে না। তাদের প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছু বাড়িতেই পৌঁছে দেয়া হবে। সমস্ত কিছু দেখাশোনা ও নজরদারির জন্য রাজারহাট থানার পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকবে কনটেনমেন্ট জোনে। 

পুলিশ জানিয়েছে ১৭ দিন পর করোনায় আক্রান্তদের পরীক্ষা করা হবে। যদি তারা নেগেটিভ আসে তবেই কনটেনমেন্ট জোন তোলা হবে।  পাশাপাশি পুলিশের তরফ থেকে প্রতিনিয়ত নজরদারি চালানো হবে। যে সমস্ত এলাকায় একই পরিবারের একাধিক সদস্য করোনায় আক্রান্ত , বা পাশাপাশি যে সমস্ত বাড়ি রয়েছে সেই সমস্ত বাড়িতে একাধিক মানুষ করোনায় আক্রান্ত, সেই জোনগুলিকে কনটেনমেন্ট জোন করা হবে।

রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে নয়া উদ্যোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের। কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে চালু হতে চলেছে মিনি কনটেনমেন্ট জোন। বিভিন্ন জেলায়, যেখানে করোনার সংক্রমণের হার তুলনায় বেশি, সেই এলাকাগুলি চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। 

এলাকা চিহ্নিত করে সেগুলিকে ছোট ছোট কনটেনমেন্ট জোনে ভাগ করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। নবান্নের তরফে নতুন করে এই ঘোষণা করা হয়। জেলার করোনা সংক্রমণের হার বেশি থাকা এলাকাগুলির তালিকা তৈরি করতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

এক সরকারি আধিকারিক জানান, শহর কলকাতার কোন জায়গাগুলি সংক্রমণ প্রবন, তার তালিকাও তৈরি হয়েছে। এতে রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার কমিয়ে আনা যাবে বলে মনে করছে রাজ্য সরকার। ৩০শে জুন পর্যন্ত রাজ্যে নতুন করে লকডাউনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিকে নজর রেখেই ছোট ছোট কনটেনমেন্ট জোন করে করোনা মোকাবিলায় জোর দিতে চাইছে বাংলা। 

হাওড়াতে ইতিমধ্যেই ১৮টি কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণার তালিকা তৈরি হচ্ছে বলে খবর। তবে সরকারি সূত্র বলছে উত্তর ২৪ পরগণায় কমপক্ষে ১৫টি কনটেনমেন্ট জোন থাকতে পারে। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বরো স্তরের কর্মীদের দিয়ে তথ্য নিয়ে তালিকা তৈরি করছেন বলে খবর। প্রতিদিন আক্রান্ত হওয়ার হারের ওপর নির্ভর করেই জোন তৈরি করা হবে।