সংক্ষিপ্ত

সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে সৌম্যা স্বামীনাথন বলেছেন, ওমিক্রনের বিরুদ্ধে 'T' কোষ অনাক্রম্যতা আরও ভালোভাবে ধরে রেখেছে। এটি যেকোনও মানুষকে গুরুতর রোগের বিরুদ্ধে রক্ষা করতে পারে। টুইট বার্তায় সৌম্যা স্বামীনাথন সকল মানুষকেই দ্রুত টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। 

টিকাপ্রাপ্ত থেকে শুরু করে টিকাবিহীন মানুষ- সকলকেই সংক্রিমত করার ক্ষমতা রয়েছে করোমাভাইরাসের (Coronavirus) নবরূপ ওমিক্রনের (Omicron)। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর করোনাভাইরাসের টিকাগুলি।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন  (Soumya Swaminathan) স্পষ্ট করে জানিয়েছেন করোনাভাইরাসের টিকাগুলি ওমিক্রনের বিরুদ্ধে যথেষ্ট কার্যকর। কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন,অনেক দেশেই দ্রুত গতিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু রোগের তীব্র কোনও দেশেই এখনও পর্যন্ত ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেনি। 

ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কেন টিকা কার্যকর তাও জানিয়েছেন সৌম্যা স্বামীনাথনঃ 
১) সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে সৌম্যা স্বামীনাথন বলেছেন, ওমিক্রনের বিরুদ্ধে 'T' কোষ অনাক্রম্যতা আরও ভালোভাবে ধরে রেখেছে। এটি যেকোনও মানুষকে গুরুতর রোগের বিরুদ্ধে রক্ষা করতে পারে। টুইট বার্তায় সৌম্যা স্বামীনাথন সকল মানুষকেই দ্রুত টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। 

২) কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতার কারণ ব্যাখ্যা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। সেখানে উপস্থিত থেকে সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে ভ্যাক্সিন বা টিকাগুলিকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অনুমোদন দিয়েছে, সেগুলি প্রত্যেকটি শক্তিশালী। ডেল্টার মত শক্তিশালী প্রতিপক্ষকেও রুখে দিতে সম্ভব। রোগের গুরুতর হার কমানোর পাশাপাশি মৃত্যুর বিরুদ্ধেও টিকাগুলি সুরক্ষা দিতে পারে। 

৩) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে জৈবিক কারণেও টিকা ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকর। করোনাভাইরাস তুলনায় দুর্বল ও অসুস্থদের মধ্যে দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে পারে। করোনার সবকটি রূপেরও একই বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাই টিকাও দেওয়ার ক্ষোত্রেও বৃদ্ধদের আগে টিকা দেওয়া হয়েছে।

৪) তৃতীয় কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন টিকা দেওয়ার কারণে ও আগের সংক্রমণের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়েছে। তাই আগের তুলনায় মানুষের শরীরে অন্টিবডি ও সুরক্ষা কবচ অনেক বেশি শক্তিশালী। তাই ওমিক্রনের বিরুদ্ধে সংস্থা অনুমোদিত সংস্ত টিকাই কার্যকর বলেও তিনি দাবি করেন। 

৫) সৌম্যা স্বামীনাথন জোর দিয়ে বলেছেন এটি স্পষ্ট যে ওমিক্রনই করোনাভাইরাসের উপসংহারে পৌঁছে দেবে। তবে তার আগে ল্যাবের সমস্ত গবেষণায় দেখে গেছে করোনাভাইারসের শক্তি আগের তুলনায় অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। আবার এটিও দেখা গেছে টিকা প্রাপ্ত ব্যক্তিরা আক্রান্ত হলেও তাদের রোগ তেমন গুরুতর হয়নি। তাতেই প্রমাণ হচ্ছে ওমিক্রনের বিরুদ্ধে টিকাগুলি যথেষ্ট কার্যকর। 

সৌম্যা স্বামীনথন আরও বলেছেন আগের তুলনায় মানুষের মধ্যে অনাক্রম্যতার হার অনেক বেশি। যা করোনাভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। তার ওপর রয়েছে ভ্যাক্সিনের নিরাপত্তা।  যা  কার্যকারিতা আগের তুলনায় অনেক বেশি বাড়িয়ে দিয়েছে।