সংক্ষিপ্ত

  • ৩০ মে থেকে শুরু হচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ
  • শুক্রবার আইসিসি ধারাভাষ্যকারদের নাম জানিয়ে দিয়েছে
  • সেই সঙ্গেই জানানো হয়েছে সম্প্রচারের পরিকল্পনাও
  • অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে অভিনবত্ব থাকবে সব বিভাগেই

 

৩০ মে থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ। এইবারের বিষ্বকাপ শুরুর অনেক আগে থেকেই এই বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা ক্রিকেট বিশ্বকাপ হয়ে উঠতে পারে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। মাঠের বাইরেও আয়োজনের ত্রুটি রাখছে না আইসিসি। শুক্রবার তারকাখচিত  ভাষ্যকারদের প্যানেল ঘোষণার পাশাপাশি বিশ্বকাপের সম্প্রচারের পরিকল্পনাও প্রকাশ করল আইসিসি। যা একেবারে অত্যাধুনিক এবং ক্রিকেট সম্প্রচার দেখার অভিজ্ঞতাই বদলে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

মাঠের মধ্যের বিনোদন

এইবারের ১০টি দলের একটিতেও প্রতিভাবান ক্রিকেটারের অভাব নেই। তার মধ্য়ে প্রতিটি দল অপর নয়টি দলের সঙ্গে একবার করে মুখোমুখি হবে। তাই প্রতিযোগিতাও খুব উচ্চমানের হবে। সেই ইংল্যান্ডের পিচে প্রচুর রান উঠবে বলছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। অর্থাত সব মিলিয়ে মাঠের মধ্যে এবার দর্শকদের জন্য ভরপুর বিনোদনের সম্ভাবনা রয়েছে। মাঠের এই ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তির সাহায্যে ক্রিকেট বিশ্বকে এমন এক ক্রিকেট প্য়াকেজ উপহার দিতে চাইছে আইসিসি, যাতে এই একটি ইভেন্টেই এক ধাক্কায় ক্রিকেট বিশ্বের পরিধিটা অনেকটা বেড়ে যায়।

তারকাখচিত ধারাভাষ্যকার ও বিশ্লেষক প্যানেল

ক্রিকেট ধারাভাষ্য ও বিশ্বেষণ যাতে টান টান উত্তেজনায় ভরপুর হয়ে ওঠে কথা মাথায় রেখে আইসিসি ২৪ সদস্যের একটি দুর্দান্দারাভাষ্য়কার প্যানেল তৈরি করেছে। রয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, মাইকেল ক্লার্ক, কুমার সাঙ্গাকারা, গ্রেম স্মিথ, ওয়াসিম আক্রম, শন পোলক, রামিজ রাজাদের মতো বড় বড় ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব। এঁদের ধুরন্ধর ক্রিকেট মস্তিষ্কের সঙ্গে দুর্দান্ত ভাবে প্রযুক্তিকে মিশানোর পরিকল্পনা করেছে আইসিসি।

প্রযুক্তির বিশ্বকাপ

এইবারই প্রথম আইসিসি বিশ্বকাপের মূল ৪৮টি ম্যাচের পাশাপাশি দশটি দলেরই সরকারি গা-ঘামানো ম্যাচেরও সরাসরি সম্প্রচার করবে।

প্রতিটি ম্যাচে মোট ৩২টি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে। যার মধ্যে থাকবে, আটটি আল্ট্রা-মোশন হক-আই  ক্যামেরা, ফ্রন্ট ও রিভার্স ভিউ স্টাম্প ক্যামেরা এবং স্পাইডারক্যাম।

প্রথমবার ক্রিকেট বিশ্বকাপে ৩৬০ ডিগ্রি ভিউতে রিপ্লে দেখানো হবে। গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের বিশ্লেষণে যা বিশেষ সহায়ক হবে দাবি করা হচ্ছে।  

প্রথমবার ব্য়বহার করা হবে 'প্লেয়ার ট্র্যাকিং'-এর মতো প্রযুক্তি। তার সঙ্গেও বিভিন্ন রকমের ভিসুয়াল ও অ্যানালিটিকাল এনহ্যান্সার প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে।

বার্ডআই ভিউ-এর জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবে ড্রোনক্যাম, আর গ্রাউন্ড লেভেল ভিউ-এর জন্য থাকবে বাগিক্যাম।

এছাড়া স্পোর্টস গ্রাফিক্স বিশেষজ্ঞ সংস্থা অ্যালস্টন এলিয়ট অত্যাধুনিক কিছু গ্রাফিক প্য়াকেজ তৈরি করেছে ম্যাচের আকর্ষণীয় কিছু পরিসংখ্যান দেওয়ার জন্য।

আইসিসির ব্রডকাস্ট অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের প্রধান আরতি দাবাস জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য হল ক্রিকেট ভক্তদের খেলাটার আরও কাছাকাছি নিয়ে আসা।