সংক্ষিপ্ত
- বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচেই ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ
- ওভালের মাঠে প্রচুর পরিমাণে বাংলাদেশি সমর্থকরা ভিড় জমান
- গোটা ম্যাচ তারা দলকে উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন
ক্রিকেট বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে অভিযান শুরু করছে বাংলাদেশ - কয়েক বছর আগেও এই কথা বললে অবিশ্বাস্য বলে মনে হত। কিন্তু, ২ জুন তারিখে সেটাই বাস্তব করে দেখিয়েছেন সাকিব-মুশফিকুররা। ঐতিহাসিক জয় এসেছে বাংলাদেশী ক্রিকেটের জন্য। কিন্তু, ক্রিকেট পাগল বাংলাদেশের হয়ে শুধু তো মাঠের ভিতরের ১১ জন ক্রিকেটারই খেলেন না, তাঁদের সঙ্গে আবেগের রথে সামিল হন গ্যালারির দর্শকরাও।
রবিবারের ওভালের ২২ গজে যখন সাকিবরা ঐতিহাসিক জয় তুলে নিচ্ছেন, তখন গোটা ম্য়াচ গলার শির ফুলিয়ে প্রিয় টাইগারদের উৎসাহ দিয়ে গেলেন বাংলাদেশী সমর্থকরা। বস্তুত গ্যালারির সমর্থনে ভিত্তিতে যদি জয়-পরাজয় নির্ধারিত হত, তাগহলে খেলার আগে থেকেই সেই ম্যাচ জিতে নিয়েছিল বাংলাদেশ। গোটা গ্যালারি সবুজ-লাল জার্সিধারীদের ভিড়ে ভরে গিয়েছিল। তার মাঝে টিমটিম করেছে সামন্য কিছু সবুজ-হলুদ জার্সির দক্ষিণ আফ্রিকান সমর্থক।
একেবারে জাতীয় সঙ্গীতে গলা মেলানো থেকে শুরু হয়েছিল গ্য়ালারির ব্যাঘ্র গর্জন। তারপর খেলা যত এগিয়েছে ততই খেলায় বাংলাদেশের মুঠি শক্ত হয়েছে। আর তাল মিলিয়ে বেড়েছে সেই গর্জন। আর শেষ বলটা হতেই তা পরিণত হয়েছে শব্দব্রহ্মে। পুরস্কার বিতরণের সময় 'বাংলাদেশ', 'বাংলাদেশ' চিৎকারে গোটা ওভাল প্রায় ফেটে পড়ছিল।
ইংল্যান্ডে প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশী বসবাস করেন। বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত তাঁরকা। কাজের সূত্রে দেশ ছেড়ে থাকতে হলেও, যে কোনওভাবেই শিকড়ের খোঁজ তাঁরা চালিয়ে যান। আর এর জন্য ক্রিকেটের থেকে বড় কিছু হতে পারে না। তারই ছবি দেখা গেল ওভালের মাঠে। বস্তুত এশিয় দেশগুলির সমর্থকরাই আইসিসি-র সবচেয়ে বড় ভরসা। পুরস্কারের মঞ্চে বাংলাদেশী অধিনায়ক মোর্তাজাও দর্শকদের বিপুল সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বলেছেন, ঘরেই খেলছেন বলে মনে হয়েছে। আগামী ম্যাচগুলিতেও গ্য়ালারির ছবিটা এরকমই থাকবে বলে আশা করছএন তিনি।