সংক্ষিপ্ত

ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) প্রথম একদিনের ম্যাচে (1st ODI)। প্রথমে ব্য়াট করে ২৯৬ রান করে প্রোটিয়া ব্রিগেড। জোড়া শতরান করলেন টেম্বা বাভুমা ও ভ্যান ডার ডুসেন (Van Der Dussen)। ভারতের টার্গেট ২৯৭ রান। জবাবে টিম ইন্ডিয়া (Team India) করে ২৬৫ রান।
 

টেস্ট সিরিজে (Test Series) হারের পর একদিনের সিরিজের শুরুটাও ভাল হল না ভারতীয় ক্রিকেট দলের (Indian Cricket Team)। ৩ ম্যাচের সিরিজের প্রথম ম্য়াচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে (South Africa) ৩১ রানে হারতে হল কেএল রাহুলের  দলকে। ম্য়াচে প্রথমে ব্যাট করে টেম্বা বাভুমা (Temba Bavuma)ও ভ্যান ডার ডুসেনের (Van Der Dussen) জোড়া শতরানের সৌজন্যে ২৯৬ রান করে প্রোটিয়া ব্রিগেড।  দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা করেন ১১০ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১২৯ রান করেন ডুসেন। রান তাড়া করতে নেমে শিখর ধওয়ানের ৭৯, বিরাট কোহলির (Virat Kohki) ৫১ রানের ইনিংস ছাড়া সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয় ভারতীয় ব্য়াটিং লাইনআপ। শেষের দিকে শার্দুল ঠাকুরের ৫০ রানের ইনিংস না খেললে আরও বেশি রানে ম্য়াচ হারতে হত টিম ইন্ডিয়া। শেষ পর্যন্ট ৮ উইকেটে ২৬৫ রানে শেষ হয় ভারতের ইনিংস। ৩ ম্য়াচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে লিড নিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

এদিন টসে জিতে ব্য়াটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। কিন্তু ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। শুরু থেকেই আটোসাটো বোলিং করেন দুই পেসার জসপ্রীত বুমরা ও ভুবনেশ্বর কুমার। পঞ্চম ওভারে দলের ১৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় প্রোটিয়া ব্রিগেড। বুমরার বলে ৬ রানে করে আউট হন জানেমান মালান। এরপর ক্রিজে আসেন টেম্বা বাভুমা। কুইন্টন ডিকককে সঙ্গে নিয়ে ধীর গতিতে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করেন। কিন্তু সেই পার্টনারশিপ বেশি সময় স্থায়ী হয়নিষ ৫৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার। ২৭ রান করেন অশ্বিনের শিকার হন ডিকক। বেশিক্ষণ ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি আইডেন মার্করাম। ১০ রান করে এই ম্য়াচে অভিষেককারী ভেঙ্কটেশ আইয়র তাকে রান আউট করেন। ৬৮ রানের ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা দল। সেখান থেকে দলের ইনিংসের রাশ ধরে নেন অধিনায়ক টোম্বা বাভুমা  ও ভ্যান ডার ডুসেন। দুজনেই প্রথমে তাদের অর্ধশতরান ও পরে তাদের শতরানও পূরণ করেন। একাধিক চোখ ধাধানো শট ক্রিকেট প্রেমিদের উপহার দিন বাভুমা ও ডুসেন। ৬৮ রানে ৩ উইকেট থেকে শুরু করে ২৭২ রানে গিয়ে চতুর্থ উইকেট পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০৪ রানের অনবদ্য পার্টনারশিপ গড়েন দুই প্রোটিয়া তারকা। ১১০ করে বুমরার বলে আউট হন বাভুমা। ২৯৬ রানে শেষে হয় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস। ৯৬ বলে ১২৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ডুসেন। 

 

আরও পড়ুনঃVirat Kohli: ২০০৮ থেকে ২০২১, প্রতিবছর কটি করে সেঞ্চুরি করেছেন কোহলি, দেখুন 'বিরাট' পরিসংখ্যান

আরও পড়ুনঃTop 10 Fastest Delivery: ক্রিকেট ইতিহাসে সেরা ১০ 'আগুনে গতির' বল কারা করেছিলেন, চিনে নিন তাদের

২৯৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই ভারতীয় ওপেনার কেএল রাহুল ও শিখর ধওয়ান। কিন্তু ৪৬ রানে প্রথম উইকেট পড়ে ভারতের। ১২ করে আউট হন রাহুল। এরপর শিখর ধওয়ান ও বিরাট কোহলি ইনিংসের রাশ  ধরেন। দুজন মিলে যখন ব্যাট করেছিলেন মনে হচ্ছিল কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছে যাবে টিম ইন্ডিয়া। ধওয়ান ও বিরাট দুজনেই নিজেদের অর্ধশতরান পূরণ করেন। কিন্তু ৯২ রানের পার্টনারশিপ করার পর দলের ১৩৮ রানের মাথায় আউট হন ধওয়ান। ৭৯ রানের ইনিংস ইনিংস খেলেন তিনি। পার্টনারশিপ ভাঙার পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি বিরাটও । ১৫২ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে ভারতের। ৫১ রান করে আউট হন বিরাট কোহলি। এরপর তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপ। অভিষেক ম্য়াচে নজর কাড়তে ব্যর্থ হন ভেঙ্কটেশ আইয়র। শেষের দিকে ৫০ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন শার্দুল ঠাকুর। কিন্তু দলকে জয় এনে দিতে পারেননি। ২৬৫ রানে থামে ভারতের ইনিংস। ২১ জানুয়ারি সিরিজের দ্বিতীয় ম্য়াচ ভারতের কাছে ডু অর ডাই।