সংক্ষিপ্ত

আইপিএল ২০২২-এর মেগা ফাইনালে (IPL 2022 Final) চ্য়ানম্পিয়ন  গুজরাট টাইটানস। ৭ উইকেটে হারাল রাজস্থান রয়্যালসকে। ( GT vs RR)।   প্রথমে ব্য়াট করে ১৩০ রান করল রাজস্থান রয়্যালস। ১১ বলে আগে জয় পায় হার্দিক পান্ডিয়ার দল।  জেনে ফাইনাল শেষ কোন দল ও প্লেয়াররা পেল কোন পুরস্কার।
 

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগকে বলে ভারতের কোটিপতি লিগ। আর বলা হবে নাই বা কেন। প্রতিবছরই আইপএল প্রাইজ মানিতে থাকে কোনও না কোনও চমক। এবারও তার ব্যাতিক্রম হল না।  ফাইনালে গুজরাট টাইটানস ৭ উইকেটে রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। আবির্ভাবেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে নজির গড়ল হার্দিক পান্ডিয়ার দল। ফাইনাল শেষ হতেই উৎসব ও টাকার জোয়ারে ভাসলেন ক্রিকেটাররা। শুধু আইপিএল চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল নয়, আইপিএলে প্রতিবার কোটি টাকার পুরস্কার থাকে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানাধাকারী। সঙ্গে দেওয়া হল লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত পুরস্কার। গতবছরের তুলনায় আইপিএল ২০২২-এর পুরস্কার মূল্যয় বিশেষ হেরফের করেনি বিসিসিআই। সামান্য কিছু রদবদল চোখে পড়েছে দলগত পুরস্কারের ক্ষেত্রে। ব্যক্তিগত পুরস্কারের ক্ষেত্রেও ছবিটা কার্যত একই রয়েছে। 

গতবছরের মতো এবারও আইপিএলের চ্যাম্পিয়ন দল অর্থাৎ গুজরাট টাইটানস পেয়েছে ট্রফি ছাড়া ২০ কোটি টাকা পুরস্কার মূল্য। রানার্স দল পেল ১২.৫০ কোটি টাকা। গতবারের তুলনায় রানার্স দলের পুরস্কার মূল্যের পরিমাণ ৫০ লক্ষ টাকা বাড়ানো হয়েছে। গতবছর তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানাধিকারী দল সমান পুরস্কারমূল্য পেয়েছিল। গতবছর দুই দলকে দেওয়া হয়েছিল ৮ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা করে। এবার যদিও সেই পরিমাণ কমানো হয়েছে। এবার তৃতীয় স্থানাধিকারী, অর্থাৎ দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে পরাজিত দল পেল ৭ কোটি টাকা। চতুর্থ স্থানাধিকারী, অর্থাৎ এলিমিনেটরে পরাজিত দল পেল ৬ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।

 

 

প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ  রান করে অরেঞ্জ ক্যাপ জিতেছেন জস বাটলার। ৮৬৩ রান করেথেন বাটলার। সঙ্গে রয়েছে ৪টি সেঞ্চুরি। আইপিএলের ইতিহাসে এক মরসুমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার হয়েছেন তিনি। ১৫ লক্ষ টাকা নগদের পাশাপাশি ট্রফি পান বাটলার। প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ উইককে শিকার করে পার্পল ক্যাপ জিতেছেন  যপজবেন্দ্র চাহল।  ২৭টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। যা আইপিএলের ইতিহাসে কোনও স্পিনারের নেওয়া সবথেকে বেশি উইকেটয।  ১৫ লক্ষ টাকা নগদের পাশাপাশি ট্রফি পান যুজবেন্দ্র চাহল।

 

 

এক ঝলকে দেখে নিন আর কে পেল কোন পুরস্কার-
প্রতিযোগিতায় পুরো মরসুমে সবথেকে বেশি ছয় মারারা পুরস্কার পেয়েছেন জস বাটলার। ৪৫টি  ছয় মেরেছেন তিনি।
৮৩টি চার মেরে মোস্ট ফোর অফ দ্য সিজন পুরস্কারও জস বাটলারের ঝুলিতে।
পুরো মরসুম জুড়ে ড্রিম ইলেভেন পয়েন্টের নিরিখে গেম চেঞ্জার অ্য়াওয়ার্ড পেয়েছেন জস বাটলার।
পাওয়ার প্লেয়ার অফ জ্য সিজন অ্য়াওয়ার্ডটিও পেয়ছেন জস বাটলার।
মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার অফ দ্য সিজন জস বাটলার। 
২২টি উইকেট নিয়ে  বেস্ট ইমার্জিং প্লেয়ার হয়েছেন সানরাইজার্স হায়দরাাদের উমরান মালিক।
সুপার স্ট্রাইকার অ্য়াওয়ার্ড দীনেশ কার্তিক ৩৩০ রান ও ১৮৩.৩৩ স্ট্রাইক রেট।
ফাস্টেস্ট ডেলিভারি অফ দ্য়া সিজেন লকি ফার্গুসন । ১৫৭.৩ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
ক্যাচ অফ দ্য সিজেন ইভিন লুইস ।কেকেআরের বিরুদ্ধে রিঙ্কু সিংয়ের ক্যাচ। 
এই মরসুমের ফেয়ার প্লে অ্য়াওয়ার্ডও জিতেছে দুই ফাইনালিস্টি রাজস্থান ও গুজরাট।