সংক্ষিপ্ত
বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli) তিনি কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠাতে চেয়েছিলেন। এই খবর অস্বীকার করলেন বিসিসিআই (BCCI) প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায় (Sourav Ganguly)।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের (India tour to South Africa) ঠিক আগে, বিস্ফোরক সাংবাদিক সম্মেলনের জন্য প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli) কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠাতে চেয়েছিলেন বিসিসিআই (BCCI) প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায় (Sourav Ganguly)। দলের পারফরম্যান্সে তার প্রভাব পড়তে পারে বলে সৌরভকে আটকান জয় শাহ (Jay Shah)। শুক্রবার সকালে এই খবরই দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট মহলে। কিন্তু, দিনের শেষে, সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর কাছে এই খবর অসত্য বলে দাবি করলেন সৌরভ।
বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেটে ঝড় উঠেছে। একদিকে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, অপরদিকে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। গত কয়েক মাসে ঘটেছে যুগ পরিবর্তন। আর, সেই প্রক্রিয়ায় কে যে সত্য বলছেন, আর কে যে অসত্য তা বোঝাই দায়। শুরুটা হয়েছিল, গত বছর টি২০ বিশ্বকাপ থেকে ভারতের প্রস্থানের পর বিরাট কোহলি টি২০ অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ানো থেকে। তাই নিয়ে খুব বেশি বিতর্ক তৈরি না হলেও, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগে কোহলিকে ওডিআই অধিনায়কের পদ থেকে ছেঁটে ফেলাটা আগুন ঘি ফেলেছিল। বিসিসিআই বলেছিল, সাদা বলের ফর্ম্যাটে তারা একজন মাত্র দলনেতা চায়। তাই এই বদল।
আরও পড়ুন - Advertisement King Virat-অধিনায়কত্ব ছাড়াও পরও বিজ্ঞাপন জগতে বিরাটই রাজা
আরও পড়ুন - IND VS SA ODI: একদিনের সিরিজেও হার ভারতের, দ্বিতীয় ম্য়াচ ৭ উইকেটে জিতল দঃ আফ্রিকা
এরপরই বিরাট কোহলি, সাংবাদিক সম্মেলন করে সরাসরি বোর্ডকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। সৌরভ আগে দাবি করেছিলেন, তিনি বিরাটকে টি২০ ক্রিকেটের অধিনায়কের পদ না ছাড়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। বিরাট সরাসরি তা অস্বীকার করেন। উলটে, তাঁকে কতটা খারাপভাবে একদিনের ক্রিকেটের দলনেতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাও প্রকাশ্যে এনে ফেলেন। এরপরই, নির্বাচনের বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং মন্তব্য করার জন্য সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিলেন সৌরভ।
ক্রিকেট মহলে একটা গুজব চলছিল, টেস্ট অধিনায়কত্ব নিরাপদে রাখতে গেলে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিরাটকে সিরিজ জিততেই হবে। ৩ ম্যাচের সিরিজে, ভারত শেষ পর্যন্ত ১-২ ফলে পরাজিত হয়। আশ্চর্যজনকভাবে, টেস্ট সিরিজ শেষের ২৪ ঘন্টা পরই টেস্ট অধিনায়কের পদ থেকেও ইস্তফা দেন ৩৩ বছর বয়সী বিরাট। সোশ্যাল মিডিয়া তা জানিয়ে, বিরাট লিখেছিলেন, 'সবকিছুই এক পর্যায়ে থেমে যায় এবং ভারতের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে আমার জন্য এটাই থামার সময়।'
কোহলির টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্তকে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করে তাকে স্বাগতই জানিয়েছিলেন। টুইট করে তিনি বলেন, বিরাটের নেতৃত্বে, ভারতীয় ক্রিকেট খেলার সমস্ত ফর্ম্যাটে দ্রুত উন্নতি করেছে ..তার সিদ্ধান্তটি ব্যক্তিগত এবং বিসিসিআই এটাকে অত্যন্ত সম্মান করে... ভবিষ্যতে এই দলটিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হবেন।'
ভারতীয় ক্রিকেটের এক দারুণ কঠিন সময়ে দলের নেতৃত্বের ভার কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন সৌরভ। তারপর কী হয়েছিল, তা ভারতের সকল ক্রিকেট প্রেমীই জানে। এবার, তিনি যখন বিতর্কের কেন্দ্রে, দলকে এই গর্ত থেকে তুলে আনতে পারবেন কি বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট? এখন সেটাই দেখার।