সংক্ষিপ্ত
টি-২০ বিশ্বকাপে বরাবরই ভাল খেলেন বিরাট কোহলি। চলতি প্রতিযোগিতাতেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। প্রথম ম্যাচেই অসাধারণ ইনিংস খেলেছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক।
টি-২০ বিশ্বকাপে রান তাড়া করে জয়ের ক্ষেত্রে ভারতের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটারের নাম বিরাট কোহলি। এই প্রতিযোগিতায় এখনও পর্যন্ত ১০ বার তিনি রান তাড়া করেছেন। তার মধ্যে আউট হয়েছেন মাত্র দুই ইনিংসে। টি-২০ বিশ্বকাপে রান তাড়া করার সময় বিরাটের মোট রান ৫৪১। ব্যাটিং গড় এতদিন ছিল ১৩৫.৯২। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই ইনিংসের পর সেই গড় বেড়ে হয়েছে ২৭০.৫০। টি-২০ বিশ্বকাপে রান তাড়া করার সময় বিরাটের সর্বনিম্ন স্কোর অপরাজিত ২। যে দু'বার তিনি আউট হয়েছেন, তার মধ্যে সর্বনিম্ন স্কোর ২৩। ২০১৬ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে নাগপুরে এই স্কোর ছিল তাঁর। বিরাটের এই ধারাবাহিক পারফরম্যান্সকে কুর্ণিশ জানিয়েছে আইসিসি। এখনও পর্যন্ত টি-২০ বিশ্বকাপে বিরাটের সেরা ৫ ইনিংস বেছে নিয়েছে আইসিসি। তার মধ্যে মেলবোর্ন, মোহালি যেমন রয়েছে, তেমনই ইডেনের ইনিংসও আছে। পাকিস্তানকে সামনে পেলে বিরাট কি একটু বেশিই তেতে ওঠেন? তাঁর সেরা ৫ ইনিংসের মধ্যে ৩টিই যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।
আইসিসি-র বিচারে এখনও পর্যন্ত টি-২০ বিশ্বকাপে বিরাটের সেরা ইনিংস রবিবার মেলবোর্নে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। এই ম্যাচে ৫৩ বলে ৮২ রান করে অপরাজিত থাকেন বিরাট। ম্যাচের পর তিনি নিজেও এই ইনিংসটাকেই পরিবেশ-পরিস্থিতির বিচারে সেরা বলে অভিহিত করেন। সচিন তেন্ডুলকরও ট্যুইট করে বিরাটের এই ইনিংসটাকেই সেরা বলেন। এরপর আইসিসি এই ইনিংসটাকে সেরা হিসেবে বেছে নিল। বিরাটের সঙ্গে ১০৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন হার্দিক পান্ডিয়া। এই পার্টনারশিপ না হলে ভারতের পক্ষে হয়তো ম্যাচ জেতা সম্ভব হত না। বিরাট ও হার্দিককে অভাবনীয় চাপ নিয়ে ব্যাটিং করতে হয়েছে। সঙ্গত কারণেই এই ইনিংসটাকেই সেরা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
আইসিসি-র বিচারে বিরাটের দ্বিতীয় সেরা ইনিংসটিও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর আর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে ৬১ বলে ৭৮ রান করে অপরাজিত থাকেন বিরাট। মেলবোর্নের মতোই শুরুতে ধৈর্য ধরে ব্যাটিং করার পর শেষদিকে হাত খুলে মারেন বিরাট। তিনি ৮টি বাউন্ডারি ও দু'টি ছক্কা মারেন।
২০১৪ সালে বাংলাদেশের মীরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৪৪ বলে ৭২ রান করে অপরাজিত থাকেন বিরাট। তাঁর এই ইনিংসটিকে তৃতীয় সেরা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। সেটা ছিল সেবারের টি-২০ বিশ্বকাপের সেমি ফাইনাল। তখনও পর্যন্ত টি-২০ ম্যাচে ১৭০-এর বেশি রান করে হারেনি প্রোটিয়ারা। সেদিন তারা করেছিল ১৭২ রান। ফলে তারা ভেবেই নিয়েছিল ফাইনালে যাচ্ছে। কিন্তু বিরাট সব ভাবনা বদলে দেন। শেষ ৪ ওভারে জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল ৪০ রান। ৫ বল বাকি থাকতেই সেই রান তুলে ফাইনালে চলে যায় ভারত।
২০১৬ সালের বিশ্বকাপে ইডেনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৭ বলে ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন বিরাট। ইডেনের পিচ সেদিন বোলারদের সাহায্য করছিল। কিন্তু তাতে বিরাটের সমস্যা হয়নি। তিনি নিজস্ব ভঙ্গিত ব্যাটিং করে ভারতকে ১৩ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জেতান।
২০১৬ বিশ্বকাপেই মোহালিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৫১ বলে ৮২ রান করে অপরাজিত ছিলেন বিরাট। তিনি নিজে এতদিন এই ইনিংসটাকে সেরা বলে মনে করতেন। তবে আইসিসি-র বিচারে এই ইনিংস ৫ নম্বরে।
আরও পড়ুন-
অশ্বিনের বুদ্ধির তুলনা নেই, প্রশংসায় বিরাট
মেয়ে বড় হয়ে বুঝবে বাবা সেরা ইনিংসটা খেলেছিল, বিরাটের ইনিংসে উচ্ছ্বসিত অনুষ্কা